ধামরাইয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

বিএনপির চাঁদাবাজি, ভবন নির্মাণ, জমি ক্রয় বিক্রয় ও মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগে ঢাকার ধামরাইয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান ইউপি সদস্যসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা নং-১৮। ধামরাই থানার এস আই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপি নেতাদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার ২ নং আসামী সূয়াপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন (৫৫) কে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। শিমুল গংদের ভয়ে কেউ কোন অভিযোগ বা মামলা করতে সাহস পায় নি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে আসামী মোতালেব হেসেনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীরা হলেন -মাহফুজুর রহমান শিমুল (৩৫) ও মো: শাহিন (৩১)।
আসামী মাহফুজুর রহমান শিমুল সূয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ঈশাননগর এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান আইয়ুব এর ছেলে। মোতালেব মেম্বার ওই ইউনিয়নের শিয়ালকোল এলাকার শুকরা মাঝির ছেলে এবং অপর আসামী শাহিন একই ইউনিয়নের জহিরুল ইসলাম জহিরের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৫ আগষ্টের পর ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শিমুল এর নেতৃত্বে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে থেকে চাঁদাদাবি, জমি ক্রয় বিক্রয় ও মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন। ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ যেন শিমুলের কাছে জিম্মি ছিল। মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সরকারের কাছে থেকে ৬৩ শতাংশের একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর মাহফুজুর রহমান শিমুল, মোতালেব মেম্বার, শাহিনসহ একাধিক ব্যক্তি ভুক্তভোগী মজিবুর রহমানের পুকুর দখল করে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয় এবং পুকুরের প্রায় সব মাছ দিনের বেলায় মেরে নিয়ে যায়।
এছাড়াও তার কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। পুকুর পাড়ে কলা গাছ কেটে ফেলে। পুকুর দখলের বিষয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুকুর দখলের বিষয়টি জানাজানি হলে একাধিক মিডিয়ায় শিমুলকে নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়ে থাকে। তবে চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় ভুক্তভোগী মজিবুর রহমানকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেন বলে মামলা সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, শিমুলের চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হয়েছে। মোতালেব মেম্বার নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে। যেই অপরাধ করুক কেউ পাড় পাবে না।
Comments