Image description

মানিকগঞ্জে পুলিশ হাউজিং সোসাইটির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক রাজমিস্ত্রি শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ভবন নির্মাণে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে‌ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জেলা পরিষদ সংলগ্ন আবাসিক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত শ্রমিকের নাম মো. হারুন (৩৫)। তার বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানার তারাগঞ্জ এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। নিহত হারুনের ৬ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকেরা জানান, ভবনের সপ্তম তলায় রুফুস (একটি দড়ি ও চাকার মাধ্যমে ইট বা মালামাল টেনে তোলার যন্ত্র) দিয়ে ইট উঠানোর সময় মেশিনের একটি নাট ভেঙে যায়। ভারী মেশিনটি তখন ধাক্কা খেলে তৎক্ষণাৎ ঝাকিতে হারুন নিচে ছিটকে পড়ে। এই ঘটনায় তখনই তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে পুলিশ হাউজিং প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ইসরাত কনষ্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সালাউদ্দিন বলেন, আমরা সবসময় শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখি। ঘটনার দিন শ্রমিকরা নিজেরাই ‘রুফুস’ দিয়ে ইট তুলছিলেন। হারুন কাজ করার সময় হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে নিচে পড়ে যান। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, পুলিশে কর্মরত আছেন এমন ৩২ জন কর্মকর্তা মিলে সাড়ে ১৬ শতক জমির উপর নির্মাণ করছেন দশ তলা ভবন। 

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জেলার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা‌-কর্মচারীরা নামে এবং তাদের স্ত্রীদের নামে এ জমি কিনে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। ভবন নির্মাণে মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম কারণ। তবে কি-সাইনবোর্ড লাগিয়েই সব হালাল করে নিয়েছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে নাই বলেই আজ একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগী হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশের সুরতহাল শেষে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।