Image description

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট নগরীর লালদীঘি পাড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিজাম উদ্দিন (২১)। এ ঘটনায় তার বাবা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এতে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, নগরীর কোতোয়ালি থানার একটি হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা ফজলে করিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ। ভার্চুয়াল শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন ফজলে করিম। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর ফজলে করিম চৌধুরীকে একটি হেলিকপ্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। আদালতে হাজির করা হলে ফজলে করিমের প্রিজনভ্যানে ডিম ছুড়ে মারেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। এরপর থেকে তাকে আর আদালতে হাজির করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো ভার্চুয়াল শুনানি হয়।