
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে নগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে কেএমপি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, গত ১০ মাসে মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুটি মরদেহ নদীতে ভেসে আসায় নৌ পুলিশ সেগুলোর তদন্ত করছে। বাকি ২৪টির মধ্যে কেএমপি ২২টি হত্যার পেছনের ঘটনা উদঘাটন এবং আসামিদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। অবশিষ্ট দুটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, তবে তদন্তকাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আছে।
মাদক প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, মাদকের কারণে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মাদক বিক্রেতা, বাহক এবং যারা খুলনার বাইরে থেকে মাদক নিয়ে আসে, তাদের ওপর পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে।
তিনি অভিভাবকসহ সকলকে তাদের সন্তানদের সন্ধ্যার পর অযথা বাইরে আড্ডা না দিয়ে পড়ার টেবিলে ফিরে আসার দিকে নজর দিতে অনুরোধ করেন।
ইজিবাইক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পুলিশ কমিশনার জানান, খুলনা শহরে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে, যার প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অসচেতন হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজার ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রঙ অনুযায়ী একদিন বাদে একদিন চলাচলের ব্যবস্থা করার বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ কেএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments