আনোয়ারায় সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তিন গ্রামের মানুষের

চট্টগ্রামের আনোয়ারার চাতরীতে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তিন গ্রামের দশ হাজার মানুষের। ফলে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওই ভাঙা অংশ দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির তোড়ে চাতরী, কেয়াগড় ও সিংহরা সংযোগ তিন গ্রামে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী প্রায় দশ হাজার বাসিন্দার। গত বৃহস্পতিবার রাতে বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে সড়কের দুটি অংশ তলিয়ে যায়। ফলে পুরো সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সড়ক দিয়ে কেয়াগড়, চাতরী ও সিংহরা গ্রামের মানুষ চাকরি, বাজার, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় যাতায়াত করে থাকেন।
স্থানীয়রা হেঁটে সড়কে চলাচল সচল করতে সড়কের ভাঙা অংশে শুক্রবার বিকেলে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। এ সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে শিশুসহ স্থানীয়রা সড়ক পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ অর্থ সম্পাদক আবদুল মাবুদ বলেন, সুইচ গেইট ভেঙে পানিতে প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সুইচ গেইট নির্মাণ করবে না, ততক্ষণ চাতরীবাসীর দুর্ভোগ যাবে না। এই সড়কটি তিন গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। এখন সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সবাই। দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের দাবী জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসান তারেক জানান, বৃষ্টি ও জোয়ারে রাস্তার দুটি অংশ ভেঙে পড়েছে। বিষয়টি আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভাঙন আরও বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সিটিজেন ফোরামের আহ্বায়ক সাংবাদিক তৌহিদুল আলম বলেন, ‘এই সড়কটির দুই পাশে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি রয়েছে। প্রতিবছর সাময়িক মেরামত করা হলেও বর্ষা এলে তা আবার ভেঙে পড়ে। ফলে সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে, আর মানুষের দুর্ভোগও লাঘব হচ্ছে না। টেকসই উন্নয়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘দ্রুত সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments