খ্রিস্টান পল্লীতে হামলা ও ভাঙচুর: মামলা থেকে মূল আসামীদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে খ্রিস্টান পল্লীতে গভীর রাতে প্রতিপক্ষের হামলা ভাঙচুর ও ছাগলের খামারে অগ্নিসংযোগ করে ছাগল লুট ঘটনায় মামলা থেকে মূল আসামীদের নাম বাদ দেওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। ৪ জুন দুপুর ১২ টার সমায় মামলার বাদী তার নিজ বাস ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মামলার বাদী অথরা বাড়ৈ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কনক বাড়ৈ, সাগর বাড়ৈ, নিখিল বিশ্বাস, রিবিকা বিশ্বাস সহ পল্লীর অনেক অধিবাসী।
বাদী লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে জানান, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার উদ্ধার কৃত মোবাইল থেকে ওই রাতে যে সকল লোকদের সাথে ফোনে কথা হয়েছে তাদেরকে আমার সন্দেহ হয় এবং আমি তাদের নাম উল্লেখ করে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করি। কিন্তু থানা পুলিশ আমার সন্দেহেভাজন আসামিদের নাম বাদ দিয়ে শুধুমাত্র যার মোবাইল পাওয়া গেছে তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এ ধরনের মামলা একটি আই ওয়াশ মাত্র। বর্তমানে প্রতিপক্ষ আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধুমকি দিয়ে আসছে। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে জেলা পুলিশ সুপার ও ডিআইজি মহোদয় কে এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও আমার নিরাপত্তা দাবি করছি।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পরের দিন সকালে তিনি বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় সন্দেহভাজনদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে উজিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, এসআই জ্যোতির্ময় মামলা থেকে আসামিদের বাদ দিয়ে মামলা রুজু করতে বাধ্য করেন।
এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল সালাম কে কয়েকবার ফোন দিলে রিসিভ করেননি।
এস,আই জ্যোতির্ময় বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ১ জুলাই রাত দুইটার দিকে সাতলা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের জহলাল বিশ্বাসের কন্যা অথরা বাড়ৈ (৩০) জানান, তিনি রাতে একা বাড়িতে ছিলেন এ সময় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তার ঘরের প্রধান দরজায় দুর্বৃত্তের আঘাত করে। এ সময় তিনি ডাক চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার বাড়ির পিছনের ছাগলের খামারে অগ্নিসংযোগ করে ১৮ টি ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। ওই রাতেই তার পেঁপে বাগানে প্রায় শতাধিক পেপে গাছ কেটে ফেলেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনাস্থলে দুর্বৃত্তরা একটি বাটন মোবাইল ফোন ফেলে যায়। যাহার নম্বর ০১৮৬২-৯২৮৯৬০ বলে তিনি অভিযোগে করেছিলেন।
এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় ১ ও ২ জুলাই জাতীয় ও আঞ্চলিক ইলেকট্রিক মিডিয়া, পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত।
Comments