Image description

নোয়াখালীর চাটখিলে একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (৩০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালতলা মহিলা আলিম মাদ্রাসার প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে। মাদ্রাসার অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে অধ্যক্ষের বিরোধ চলছিল বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী তালতলা মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেছেন। তবে, মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন চাটখিলের নোয়াখোলা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন।

অধ্যক্ষ আশেকে এলাহী একটি গণমাধ্যমকে জানান, বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন সচিবের নাম প্রস্তাব করে একটি অ্যাডহক কমিটি জমা দিয়েছেন। এই প্রস্তাবিত কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজ সকালে অভিযোগ তদন্ত করতে মাদ্রাসায় যান।

আশেকে এলাহী অভিযোগ করেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যখন তদন্ত করছিলেন, তখন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও তার লোকজন হট্টগোল করে তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে চলে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন অধ্যক্ষের সঙ্গে মাদ্রাসার প্রধান ফটকের সামনে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে জসিম ও তার সঙ্গীরা অধ্যক্ষের গায়ে হাত তোলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন অধ্যক্ষকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, অধ্যক্ষের গঠন করা প্রস্তাবিত অ্যাডহক কমিটির বিপক্ষে তারা ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন এবং আজ সেই অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। তবে, অধ্যক্ষের সঙ্গে তার কোনো ঝামেলা হয়নি। জসিম উদ্দিন মনে করেন, অধ্যক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব অভিযোগ ছড়াচ্ছেন।

একই বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, "আমরা জাকির হোসেন নামের একজনের নাম কমিটিতে প্রস্তাব করেছি। অধ্যক্ষ সেটা বিবেচনা না নিয়ে সাবেক এক সচিবের নাম প্রস্তাব করেছেন, অথচ ওই ব্যক্তি ঠিকমতো এলাকায় আসেন না। এলাকার কেউই তাকে ওই দায়িত্বে দেখতে চান না।"

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান জানান, অধ্যক্ষ তাকে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বিস্তারিত শুনে অধ্যক্ষকে পুরো ঘটনা উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। ইউএনও আরও জানান, তিনি এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে কথা বলবেন।