
মেলার নামে লটারি, জুয়াসহ সকল প্রকার অনৈতিকতা বন্ধের দাবি জানিয়েছে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ। পরিষদের পক্ষ থেকে আজ সোমবার দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসক ও কেএমপি কমিশনার বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ আহবান জানানো হয়।
ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গোলাম কিবরিয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনা জেলা ইমাম পরিষদ এ অঞ্চলের সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষের একান্ত প্রিয় একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। ইমাম পরিষদ হকের পক্ষে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে সবসময়ই জোরালো ভুমিকা পালন করে থাকে। ইসলাম ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং অনৈতিক ও অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ জানাতে ইমাম পরিষদ সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে পত্র পত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়াসহ একাধিক সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, খুলনা শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম স্থান বাবরি চত্বরে (শিববাড়ি মোড়) ও পরিত্যক্ত জিয়া হল এলাকায় মাসব্যাপী মেলার আয়োজনের চেষ্টা চলছে। অতীতে আমরা দেখেছি- যেখানেই মেলার আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে নগ্নতা ও অনৈতিকতা থাকে। লটারি, জুয়াসহ অনেক অসামাজিক ও অনৈসলামিক কাজ চলে থাকে। ফলে সমাজে ও রাষ্ট্রে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পায়। কাজেই এ ধরণের কোন মেলার অনুমতি না দেওয়ার জন্য খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি পেশকালে উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এএফএম নাজমুস সউদ, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, ইমাম পরিষদের নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা মুশফিকুর রহমান, মাওলানা আনোয়ারুল আজম, মোল্লা মিরাজুল হক, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা হেকমত উল্লাহ মাদানী, ডক্টর মুফতি আব্দুর রহিম, মুফতি জিহাদুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর পরই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর একই দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এসময়ও ইমাম পরিষদের উল্লিখিত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Comments