Image description

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক জামালগঞ্জ-রূপাবালী এবং জামালগঞ্জ-সেলিমগঞ্জ সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) সকাল ১১টায় জামালগঞ্জ সিএনজি, ইজিবাইক ও মটর সমিতির আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

জামালগঞ্জ ইজিবাইক সমিতির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান রুকন ও ছাত্র প্রতিনিধি হাসান আল মাছুম এর যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুর রব, জামালগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বিন বারী, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জুলফিকার চৌধুরী রানা, সামছুজ্জামান ধন মিয়া, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নোওয়াগাঁও বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম কাপ্তান, ছাত্র প্রতিনিধি তোফায়েল আহমদ, মটর বাইক সমিতির সভাপতি রিপন মিয়া, সিএনজি লেগুনা সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সরকার, ইজিবাইক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রমূখ। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন, জামালগঞ্জ উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক, ব্যবসায়ি, নোওয়াগাঁও বাজার, লালবাজার ও মান্নানঘাট ইজিবাইক সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনগণ।  

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০২২ সালের আকস্মিক বন্যায় জেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগের রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বন্যার পর মাঝে মধ্যে মেরামত করা হলেও যান চলাচলে অনুপযোগী। সড়কে অসংখ্য খানাখন্দের কারণে প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে গাড়ীতে আরোহী যাত্রী নিহত হয়েছেন। গর্ভবতী মা ও মুমূর্ষু রুগীদের যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গণমাধ্যম কর্মীরা বারবার নিউজ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক লড়ছে না। বক্তরা সড়কের খানাখন্দের সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচির ঘোষণা দেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন জানান, আমি এই উপজেলায় যোগদানের পর নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের বরাদ্দ দিয়ে খানাখন্দে ভরা রাস্তাটির কিছুটা অংশ সংস্কার করেছি। খানাখন্দে ভরা জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি নিয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার স্যারের সাথে কথা বলেছি। তিনি রাস্তাটির সংস্কারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। আমি আশা করছি আগামী তিন মাসের ভিতরে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নূর বলেন, রাস্তার খানাখন্দের কারণে আপনাদের মতো আমরাও দূর্ভোগে আছি। জেলা সদরের সাথে যোগাযোগে নদী পার হয়ে বিকল্প রাস্তায় যেতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যান চলাচলের জন্য সংস্কার কাজ চলছে। এই কাজে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।