
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পৌর সদরের পূর্ব দ্বীপেশ্বর এলাকায় নুর চাঁন মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম ওরফে কামাল হোসেন। ১৮ বছর ধরে সৌদি আরবের একটি কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। অবশেষে প্রায় তিন মাস পর ২৯ জুন রোববার তার মরদেহ আসলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনে ১৮ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান কামরুল। চলতি বছর মার্চে ছুটিতে বাড়ি এসে আবার এপ্রিলে সৌদি আরবে গেলে হঠাৎ কামরুল নিজ বসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক সহকর্মীরা রিয়াদের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কামরুলের ইসলামের দুটি সন্তান রয়েছে। সংসারে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা মা ও স্ত্রী রয়েছে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার বাড়িতে লাশ বাহী এ্যাম্বুলেন্স আসার খবরে ছুটে এসেছেন বহু আত্মীয় স্বজন, সকলের কান্নায় বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
কামরুলের ভাই জানান, সংসারের সমস্ত খরচ জোগান দিত সে আজ তার মৃত্যুতে পরিবারটি চরম বিপাকে পড়েছে। সদা হাস্যজ্জল কামরুল ইসলামে ওরফে কামাল হোসেনের লাশ বাড়িতে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ২৯ জুন রোববার বাদ আসর নিজ বাড়িতে জানাজার পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
Comments