Image description

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সলিমপুর মৌজায় উপকূলীয় বহুল আলোচিত কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে। অভিযানে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে সমুদ্র সিকস্তি ভূমিতে গড়ে তোলা শিপ ইয়ার্ডটির নবনির্মিত একটি ভবন ভেঙে ফেলা হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় শিল্পপতি রাজা কাশেম উপজেলার সলিমপুর মৌজায় ১ নং খাস খতিয়ানের প্রায় ১০ একর জায়গায় কয়েকবছর ধরে ঝুনা মারকেট বঙ্গোপসাগর উপকূল এলাকায় কোহিনুর স্টিল নামক একটি শিপইয়ার্ড নির্মাণের কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ইয়ার্ডের অফিস নির্মাণ, ৫টি হুইন্স মেশিন স্থাপন, সুপ্রশস্ত রাস্তা তৈরিসহ নানান কাজ করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে পরিচালিত এই ইয়ার্ডের একটি ভবন ভেঙ্গে পেলা হয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ভুমি ও এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন বলেন, উপজেলার তুলাতলী মৌজা এইটি কোন শিল্প জোন হিসাবে গেজেট ভুক্ত এলাকা না এবং আমরা যে জায়াগটি উচ্ছেদ করতে এসেছি এইটা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশ আনুযায়ী। এই জায়গাটি ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত এই জায়াগাটিতে একটি অবৈধ স্থাপনা আছে। তাই ডিসি সারের নির্দেশনা আনুযায়ী এই খানে আসছি। তবে তিনি সলিমপুর মৌজায় লিজ নেয়ায় আমরা সেদিকে যাচ্ছি না।

এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, আনসার ও ডিবি মোতায়েন করা হয়। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসন ম্যাজিষ্ট্রেট মাইনুল হোসেন, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান, ভাটিয়ারী ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন, রনকান্তি সুশীল প্রমূখ।

অপরদিকে কোহিনুর স্টীল শিট ব্রেকিং ইয়ার এর মালিক এম এ কাশেম রাজা বলেন, ২০২২ সালে সরকারি নীতিমালার আলোকে লিজ নেয়া হয়।  ইজারাতে শর্ত ছিল গ্রিন শিপইয়ার্ড করা বাধ্যতামূলক। গ্রিন শিপইয়ার নির্মাণকল্পে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। নীতিমালা আলোকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ  বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় স্থাপনা তৈরি করা হয়। অবকাঠামো তৈরি করার ফলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন প্রাপ্তি হই। বর্তমানে যে ভবনটি ভাঙ্গা হচ্ছে তা উত্তম সলিমপুর মৌজায় অবস্থিত। কোন তুলাতুলি মৌজাতে ছিল না। পূর্বের সরকারি দায়িত্বরত বিভিন্ন ঊর্ধতন কর্মকর্তারা তদন্ত করে সার্ভে রিপোর্ট বা যে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন তাতে ছিলো উত্তরসলিমপুর মৌজায়। কিন্তু কয়েক মাস পূর্ব থেকে একটি মহল আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকতায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার  চালাচ্ছে। আজ আমার গ্রিন শিপইয়ার্ডর যে ভবনটি ভাঙ্গা হয় উত্তর সলিমপুর মৌজায় শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি। এছাড়া উক্ত ভবন ও ইজারা নির্মাণের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে উচ্ছ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু এ মামলাকে উপেক্ষা করে কিভাবে জোর করে ভাঙ্গা হয় তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। অবৈধভাবে ভাঙ্গার বিষয়ে উ”চ আদালতে শরণাপন্ন হবেন বলে জানান তিনি।