Image description

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ জাকিরুল ইসলামকে দেওয়া উৎকোচের টাকা ফেরৎ চেয়ে আবেদন করেছেন একজন ভুক্তভোগী। এমন আবেদনের কপি সামাজিক মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। 

আবেদনকারী উপজেলার করশালিকা গ্রামের আব্দুল হাই সরকারের সন্তান মোঃ গোলাম হোসেন তিনি গত ২৯ এপ্রিল ঘুষের টাকা ফেরৎ চেয়ে আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান অভিযোগটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ২ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার করশালিকা এবং চরধুনাইল গ্রামের সর্বসাধারণের নিজ অর্থে রাস্তা নির্মানের জন্য করতোয়া নদী খননের বালির প্রয়োজনে শাহজাদপুর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার জাকিরুল ইসলামের কাছে গ্রামবাসীর পক্ষে শরণাপন্ন হন মোঃ গোলাম হোসেন। একপর্যায়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে গ্রামবাসীর পক্ষে প্রতিবেদন দিতে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন সার্ভেয়ার মোঃ জাকিরুল ইসলাম। বিকল্প কোন উপায় না থাকায় গ্রামবাসীর রাস্তার প্রয়োজনে প্রতিবেদন পক্ষে নেওয়ার জন্য মোঃ গোলাম হোসেন ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ প্রদান করেন। কিন্তু উৎকোচ দিয়েও ভূমি অফিস থেকে গ্রামবাসীর পক্ষে প্রতিবেদন না দেওয়ায় উৎকোচের টাকা ফেরত চেয়ে গত ২৯ এপ্রিল শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন ভুক্তভোগী মোঃ গোলাম হোসেন।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী গোলাম হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, তার এলাকায় নদী খননের বালি নিয়ে চলছে হরিলুট। কেউ কেউ হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। অথচ জনগনের নিজস্ব টাকায় নিজেদের চলাচলের রাস্তা তৈরি করার জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। এখন ঘুষের টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। সেই টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য ইউএনওর কাছে আবেদন করলেও ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ্যসিল্যাণ্ডকে। যে অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই অফিসকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই ভুক্তভোগী।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত সার্ভেয়ার মোঃ জাকিরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেউ যদি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয় তাহলে আমি কি করতে পারি। আল্লাহ নামে স্বাক্ষী রেখে বলছি একটা সম্পূর্ন মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে আমার বিরুদ্ধে। 

এদিকে ঘটনা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মোঃ মুশফিকুর রহমান জানান, ঘুষের টাকা ফেরৎ এর অভিযোগটি এখনো তদন্তধীন রয়েছে। দুই একদিনে মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।