Image description

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বামী-শাশুড়ি মিলে শরীর আগুন ধরিয়ে দিয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত গৃহবধু নাম ফাতেমা আক্তার (২৬)। ফাতেমা আক্তার উপজেলার ১ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্যম বগাচতর গ্রামের ডরি বাড়ি মো.মুসলিমের স্ত্রী এবং মীরশরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার সেকেরতালু মোল্লা পুকুর বাড়ির নুরুল আবসারের মেয়ে।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, গত ১৪ জুন (শনিবার) সকালে সীতাকুণ্ডের শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে ক্ষোভে ওই গৃহবধূ নিজের শরীরে আগুন দেয় মর্মে চমেক হাসপাতালে ৩৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। পাঁচদিন পর ফাতেমা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১টার সময় মারা যান। তিন সন্তানের জননী ফাতেমা আক্তারের বিয়ে হয় ১৮ বছর আগে। স্বামী মুসলিম উদ্দিন ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালাক বলে জানা গেছে। 

এদিকে মারা যাওয়ার পর গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারের পিতা নুরুল আবসার সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

নিহত গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারের ফুফাতো বোন মাসুমা আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার বোনকে নির্যাতন করতো স্বামী-শাশুড়ি। এ নিয়ে বহুবার শালিশ দরবারও হয়েছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় স্বামী-শাশুড়ি মিলে আমার বোনের চুলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তার চিৎকারের আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। মৃতুর পর স্বামী-শাশুড়ি পালিয়ে যায়। আমার মামা (ফাতেমার বাবা) থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।

তবে মামলা না নেওয়ার বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবারের বোঝার ভুল দাবি করে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, চমেক হাসপাতাল থেকে ফোনে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর খবর থানায় জানানো হয়েছে, যেহেতু ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ রয়েছে, তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ময়নাতদন্তের জন্য মেসেজ পাঠিয়েছি, ভুক্তভোগীর আত্মীয়-স্বজনরা এসেছিল আমরা তাদের বলেছি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার জন্য রিপোর্ট পাঠিয়েছি। এরপর আমরা মামলার প্রসেসিংয়ে যাব।