Image description

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণ এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণের অভিযোগে তার দুই সহপাঠীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর হক গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন তাদের সহপাঠীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও শৃঙ্খলা-বডির মাধ্যমে জানা যায়, গত ২ মে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত দুই সহপাঠীর সঙ্গে একটি কনসার্টে যাওয়ার আগে ওই ছাত্রীকে সুরমা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে অচেতন করে একটি মেসে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, ওই মেসে অচেতন অবস্থায় আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুই ছাত্র। একইসঙ্গে তারা ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে, এই ভিডিও ব্যবহার করে তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করছিল এবং ঘটনা প্রকাশ করলে ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশকে জানান। পুলিশ প্রশাসন দ্রুত দুই ছাত্রকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ওসি মো. জিয়াউর হক জানান, আটককৃতদের একজনকে ক্যাম্পাস থেকে এবং আরেকজনকে সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে ধরা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের আপাতত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে, এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, "বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির বিষয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি আমরা। বর্তমানে অপরাধীরা পুলিশ হেফাজতে আছে এবং মামলার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেছেন, "প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা নেওয়া হচ্ছে।"