Image description

সারা দেশে আমের খ্যাতি যেসব জেলায় ‘চুয়াডাঙ্গা’ তার অন্যতম। এই জেলার দর্শনা, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবছর ব্যাপক হারে আম উৎপাদিত হয়ে থাকে। তবে এ বছর আমের ভালো ফলন হলেও বিপণনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় আম চাষিরা পড়েছেন চরম বিপাকে। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন বাজারে আমের চাহিদা থাকলেও পাইকারদের অনুপস্থিতিতে খেত থেকেই বিক্রি হচ্ছে না আম। ফলে অনেক আম চাষিই লোকসানের মুখে পড়েছেন।

চুয়াডাঙ্গার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৩৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে আম পাকার উপযুক্ত সময়। কিন্তু পাইকার না আসায় চাষিরা আম তুলতেও পারছেন না। এতে আম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আম পাঠানোর জন্য চাষিরা নদীর ধারে, শহরের গুদাম বা বাজারে অপেক্ষা করেও পাইকার পাচ্ছেন না। ফলে ৮-১০ টাকায় বিক্রি হওয়ার মতো আম আজ ক্রেতা না থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ অবস্থায় চাষিরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে পাইকারদের ডেকে এনে ন্যায্যমূল্যে আম কেনার ব্যবস্থা করা হোক। তবেই তারা তাদের শ্রম ও বিনিয়োগের ন্যায্য মূল্য পাবেন।