Image description

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত আরিফ (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) ভোর ৪টার দিকে নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত আরিফ হাটহাজারী থানাধীন চসিক ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডের সন্দ্বীপ কলোনির ফুটবল খেলার মাঠের পামে ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আবু ফায়েজের পুত্র। তারা পরিবার নিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সন্দ্বীপ কলোনিতে ভাড়াবাড়িতে বসবাস করলেও তাদের নিজবাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া বলে জানা গেছে। সে দিনমজুর কাজ করে।

সরেজমিনে গিয়ে নিহতের মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের মধ্যে আরিফ তৃতীয় এবং পরিবারের রুজিরোজগারের একমাত্র মধ্যম আরিফ। তাকে হারিয়ে তার মা আর্তনাদ করে বারবার বলছে আমার এতবড় সংসার কে দেখবে। আমার নিরীহ ছেলেকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ছাত্রনেতা মোহাম্মদ সুমন বলেন, ভূমিদস্য ও এলাকার ত্রাস সুমন বহিরাগত লোকজন সাথে নিয়ে স্থানীয় ছাত্রনেতা সাখাওয়াতের ওপর আক্রমণ করতে গেলে তিন রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এসময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কিশোর আরিফের পেটের মাঝখানে গুলি লেগে আরিফ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এতে তার পেটের নাড়ীভুঁড়ি বের হয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের ধাওয়ায় সুমন গ্রুপের অনুসারীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়৷গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরিফকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আইসিও'র সীট খালি না থাকায় নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিওতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে বুধবার ভোরে আরিফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

এই ঘটনায় আরিফের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হবে বলে জানান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ এলাকায় আনবে বলে জানান তার পরিবার।

এ বিষয়ে মডেল থানার ওসি'র সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।