Image description

পাবনার ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা-ইপিজেডে পানি বাহিত রোগে পাঁচ দিনে অন্তত তিন শতাধিক শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছে; যাদের মধ্যে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।

ইপিজেডে সাপ্লাইয়ের পানি পান করার পর তারা অসুস্থ হন বলে দাবি সহকর্মীদের। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একজন এবং সোমবার রাতে আরেকজন মারা যান বলে জানান ঈশ্বরদী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) এ বি এম শহীদুল ইসলাম।

মৃতরা হলেন- উপজেলার পিয়ারাখালীর সাগর হোসেনের স্ত্রী ও নাকানো কোম্পানির শ্রমিক মাহফুজা খাতুন (২২) এবং উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের তিলোকপুর গ্রামের খমিন ইসলামের স্ত্রী কণা খাতুন (২৫)।

কণা ইপিজেডে আই এইচ এম কোম্পানির কোয়ালিটি কাটিং সেকশনের কর্মী ছিলেন। তার স্বামীও একই কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।

কণার স্বামীর বরাতে ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, “শনিবার দুপুরে কোম্পানিতে খাবার খেয়ে পানি পান করার পর থেকে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয় কণার। অসুস্থ অবস্থায় রোববারও কর্মস্থলে আসেন তিনি।

“পরে কণা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে ইপিজেডের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। কিন্তু রাতে তার অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। আবার হাসপাতালে নেওয়ার সময় কণার মৃত্যু হয়।”

তিনি বলেন, একইভাবে রোববার মাহফুজা কোম্পানিতে খাবার খেয়ে পানি পান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থা একটু উন্নতি হয়েছে ভেবে এবং হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা।

রাতে শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে বাড়িতেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক।

এর আগে ২৯ মে ইপিজেড এলাকায় দুপুরের খাবার খেয়ে পানি পান করার পর থেকে শ্রমিকদের পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, জ্বর, বমি ও মাথা ব্যথা শুরু হয়। ওইদিন থেকে সোমবার পর্যন্ত কয়েকশত শ্রমিক পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হন।

আক্রান্তদের ইপিজেড মেডিকেল সেন্টার, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি ও দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলী এহসান।