গুরুদাসপুরে লিচুর বাম্পার ফলন, দাম ভালো পেয়ে খুশি চাষিরা

নাটোরের গুরুদাসপুরে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া সম্পূর্ণ অনুকূলে থাকায় এলাকায় লিচুর ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে প্রায় দুই গুণ। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার দাম ভালো পেয়ে খুশি স্থানীয় লিচু চাষিরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলায় ৪১০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২৮০ মেট্রিক টন। আর বাগানগুলোর প্রায় ৯০ ভাগ গাছেই লিচু ধরেছে। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ গুণ বেশি লিচু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উপজেলায় প্রায় ৭০ থেকে সাড়ে ৭৫ কোটি টাকা লিচুর বাণিজ্য হবে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি লিচুর চাষ হয় নাজিরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। ইতোমধ্যে মোজাফফর জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা আড়ৎ ও বাগানগুলোতে এসে সরাসরি বাগান থেকে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। মোজাফফর জাতের লিচু চাষিদের কাছে থেকে প্রতি হাজার লিচু ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা হারে বিক্রি করছে বলে দাবি স্থানীয় চাষিদের।
মামুদপুর এলাকার লিচু চাষি শাজাহান আলী বলেন, এ বছর আমার মোজাফফর জাতের পাঁচ বিঘা জমিতে ভালো লিচু ধরেছে। পাইকাররা বাগানে এসে লিচুর দামও করছেন। আশা করছি সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় দুই-একদিনের মধ্যে বিক্রয় করতে পারব। লিচুর ফলন ও দামে পেয়ে খুশি তিনি।
বেড়গঙ্গারামপুর এলাকার কয়েকজন লিচু বাগান মালিক জানান, তাদের বাগানের প্রতিটি গাছেই লিচু ধরেছে এ বছর। ইতিমধ্যে পাইকাররা প্রতি হাজার লিচু ২ হাজার ৩ হাজার টাকায় বাগান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি এবছার ভালো লাভবান হতে পারবো।
ঢাকা ও গাজিপুর থেকে লিচু কিনতে আশা পাইকারী ব্যবসায়ি আসিফ ইকবাল বলেন, কয়েক দিন ধরে এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় পাইকারি লিচু কিনে ঢাকা ও গাজিপুর নিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গুরুদাসপুরে এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আর দাম ভালো থাকায় চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন।
Comments