সৈয়দপুরে অতিরিক্ত স্পিড ব্রেকার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের খিয়ারজুম্মা থেকে হাজারীহাট পর্যন্ত মাত্র ৩.৭ কিলোমিটার সড়কে ২৯টি স্পিড ব্রেকার অপসারণের দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে গণস্বাক্ষর ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সর্বস্তরের এলাকাবাসীর ব্যানারে হাজারীহাট শ্মশানের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অতিরিক্ত স্পিড ব্রেকারগুলো অপসারণের দাবি জানিয়েছেন, অন্যথায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, খিয়ারজুম্মা থেকে হাজারীহাট পর্যন্ত এই স্বল্প দূরত্বের গ্রামীণ পাকা সড়কে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে। এতে যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না এবং বারবার গতি পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ফলস্বরূপ, একদিকে যেমন অল্প দূরত্ব অতিক্রম করতে বেশি সময় লাগছে, তেমনি প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, কাশিরাম বেলপুকুর ও খাতামধুপুর ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেলেও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি অতিরিক্ত স্পিড ব্রেকারের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। একই সাথে, মুমূর্ষু রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে বা অন্যান্য যানবাহনে পরিবহনেও চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
জানা গেছে, এর আগে গত ১৫ এপ্রিল একই দাবিতে 'আমার স্বপ্ন সামাজিক সংগঠন' নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছিল। এছাড়াও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকৌশলীকে মৌখিকভাবে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ অবধি এই সড়ক থেকে অতিরিক্ত স্পিড ব্রেকারগুলো অপসারণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, যা নিয়ে এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হাজারীহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান চৌধুরী, কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুল ইসলাম চৌধুরী, আমার স্বপ্ন সামাজিক সংগঠনের সভাপতি নেহারুল করিম এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মো. ফকির ও মজিদুল ইসলাম মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। তারা দ্রুত সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Comments