Image description

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেছেন, বড়াল নদীকে বাঁচাতে চাই। তাই বড়ালসহ সকল নদীকে চলমান রাখার উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। বিগত ৫৩ বছরে দখল আর দুষণে নদীর প্রাণ নষ্ট করা হয়েছে। পরিবেশগত প্রভাব নিরুপন না করেই নদীর উপরে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এর সমাধান এক দেড় বছরের সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু প্রাধিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করতে চাই, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার রুপরেখা প্রণয়ন করে দিয়ে যেতে চাই। 

সোমবার (১৯ মে) বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়া রেগুলেটর এবং তৎসংলগ্ন নদী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ভূখন্ডে প্রবাহিত নদীগুলোকে উজানে বাঁধ দিয়ে প্রবাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। উজানের অনেক কিছুর উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু আমাদের ভূখন্ডে আমরা যেন আর নদীর কোন ক্ষতি না করি, তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। নদীগুলোর বাস্তবতা হচ্ছে নদীতে পানি না থাকা, নাব্যতা না থাকা। নদীর উপরে নির্মিত অনেক অবকাঠামো প্রবাহ না থাকা নদীগুলোকে আরো মেরে ফেলেছে। আমরা অবকাঠামো অপসারণ এবং খনন কাজ করতে চাই। নদীর সীমানা নির্ধারণ এসএ খতিয়ান অনুসারেই হবে।

তিনি আরো বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সকলের সাথে কথা বলে অতি দ্রুত কাজ শুরু করবে। বড়ালের প্রাণ ফেরাতে একটা পরিকল্পনা প্রণয়ন করাই আছে। চারঘাটের স্লুইসগেট তুলে দিয়ে খনন কাজ বাস্তবায়ন আমাদের প্রথম পরিকল্পনা। দ্বিতীয় দফায় আমরা আরো একটা পরিকল্পনার রুপরেখা অনুমোদন করে দিয়ে যেতে চাই। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মখলেসুর রহমান, নাটোর জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার মোঃ আমজাদ হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল ইসলাম ও জোয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর ও বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।