Image description

কুষ্টিয়া শহরের হরিশঙ্করপুর এলাকায় পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে মামুন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই যুবক তার নিষ্পাপ দুই শিশুকন্যাকে আছড়ে হত্যাচেষ্টার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মামুন ও তার দুই শিশুকন্যা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশঙ্করপুর এলাকার নবিউলের ছেলে রঙ মিস্ত্রি মামুনের সঙ্গে তার স্ত্রী মেঘলা খাতুনের পরকীয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মামুন তার স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে মামুন তার দুই শিশু কন্যা কুলসুম ও জান্নাতকে আছড়ে গুরুতর আহতের পর নিজে বটি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে মামুনের স্বজন ও স্থানীয়রা তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করে। অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচারের সময় স্ত্রী মেঘলা খাতুন মারা যান। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে মামুন ও তার দুই কন্যা।

কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব হাসান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেঘলা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন দুই শিশুর মধ্যে জান্নাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, কুষ্টিয়া শহরের হরিশঙ্করপুর এলাকায় মামুন নামে এক যুবক তার নিজ বসতঘরে মেঘলা নামে তার স্ত্রী এবং দুই কন্যা সন্তানকে কুপিয়ে ও আছড়ে রক্তাক্ত জখম করে মামুন নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন মামুনের স্ত্রী মেঘলা খাতুন মারা যান। তবে দুই শিশুর অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানান তিনি।