Image description

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে রাম দা হাতে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে পাঁচ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতদের পরিহিত পোশাক ও তিনটি ধারালো রাম দা (ছেন-দ্য) উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৭ মে) বিকাল ৪টায় মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসূল আলম সরকার।

গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার টিলা গ্রামের মোঃ কামাল ওরফে সিএনজি কামাল (৪০), একই উপজেলার নয়া ভাঙ্গুনি গ্রামের মোঃ ইসমাঈল সরদার, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আওলিয়ার চর গ্রামের রমজান বেপারী (২৭), পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার উত্তর চাকামায়া গ্রামের রাসেল মোল্লা এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার আদিতাপুর গ্রামের মোঃ লিমন মাতব্বর (২০)।

পুলিশ সুপার জানান, গত ৫ মে রাত দেড়টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর থানার ভদ্রাসন গ্রামের মোঃ রবিউল আলম তার অসুস্থ প্রতিবেশীকে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। রাত ২টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের ষোলঘর এলাকায় রাস্তার ওপর ছনের আঁটির তৈরি একটি ব্যারিকেড দেখতে পান। গাড়ি থামালে রাস্তার নিচ থেকে ছয়জন ডাকাত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের গাড়িতে হামলা করতে ছুটে আসে।

চালক কৌশলে গাড়ি নিয়ে পালাতে গেলে ডাকাত দল ক্ষিপ্ত হয়ে অস্ত্রসহ গাড়িটিকে ধাওয়া করে এবং ধরতে ব্যর্থ হয়ে গাড়ির দিকে ধারালো অস্ত্র ছুঁড়ে মারে। পুরো ঘটনার ভিডিও গাড়ির ক্যামেরায় রেকর্ড হয়, যা পরবর্তীতে গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আরও জানান, ভিডিওটি দেখার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত ৬ মে দুপুর থেকে আজ ৭ মে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে এই ঘটনায় জড়িত পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির চেষ্টায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও ঘটনার সময়ের পরিহিত পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা সকলেই ডাকাতির চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ূন রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোঃ ফিরোজ কবির ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল প্রমুখ।