Image description

রাজধানীতে এবার  দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও উত্তর সিটি করপোরেশন মিলিয়ে কুরবানির পশুর হাট বসবে ১৯টি। ঈদের আগের তিনদিনসহ ৫ দিন চলবে পশু বেচাকেনা। থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাট পরিচালনায় নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯টি এবং উত্তর সিটির ১০টি স্থান নির্ধারণ করে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ঈদের আগের চার দিন ও ঈদের দিন এসব হাটে পশু বিক্রি হবে। আদালতের নিষেধাজ্ঞায় এবার হাটের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে আফতাবনগর এবং মেরাদিয়া পশুর হাট।

গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট এবং বসিলা, মিরপুর, খিলক্ষেত, বাড্ডাসহ উত্তর সিটিতে হাট বসবে ১০টি।

ডিএনসিসি এলাকায় আরও পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে : খিলক্ষেত থানাধীন ৪৩ নং ওয়ার্ড মস্কুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পশ্চিম পাড়ার খালি জায়গা, উত্তর করপোরেশনের অন্তরভুক্ত খালি জায়গা, মিরপুর কালশী বালুর মাঠের খালি জায়গা।

শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে হাট চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, হাটের ইজারা দিতে নিরপেক্ষ থাকবে সিটি করপোরেশন।

এদিকে উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ ক্লাবের খালি জায়গা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠের খালি জায়গাসহ দক্ষিণ সিটিতে ৯টি হাট বসবে।

ডিএসসিসি এলাকায় আরও পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে : পোস্তগোলা শশ্মানঘাটের পশ্চিম পার্শ্বে নদীর পাড়ে খালি জায়গা, দনিয়া কলেজের পূর্ব পার্শ্বে ও সনটেক মহিলা মাদরাসার পূর্ব পশ্চিমের খালি জায়গা, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড এর খালি জায়গা, ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজের পূর্ব পার্শ্বের খালি জায়গা।

নিয়মকানুন মেনে হাট পরিচালনার ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন কঠোর অবস্থানে থাকবে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. মো. জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ৯টি হাটের বিষয়ে এরই মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের টেন্ডার কার্যক্রম হয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ের দরপত্রের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে ২৭ মে পর্যন্ত। এরপর সর্বোচ্চ দরদাতাদের চূড়ান্ত করা হবে।