Image description

সকল আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে গণতন্ত্রে ফেরার যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, ডাকসু নির্বাচনকে তার প্রথম 'লিটমাস টেস্ট' হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাই ৯ সেপ্টেম্বর দেশবাসীর চোখ থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।

কিছু শিক্ষার্থী অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন, তবে নতুন ভোটারদের মধ্যে উৎসাহই বেশি। তারা আশা করছেন, একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তারা প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারবেন। এক শিক্ষার্থী বলেন, "জাতীয় নির্বাচনে আমরা এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারিনি। ডাকসুতে ভোট দিতে পারব সেজন্য আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করছি এবার খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারব।"

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে পুরোপুরি প্রস্তুত। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা থাকবেন, এবং বহিরাগতদের প্রবেশ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, "আমাদের পুরো বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা আছে। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী এ দুই পক্ষই যথেষ্ট। বহিরাগতরা এসে যেন এখানে কোনো সহিংসতা করতে না পারে সেজন্য পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন।"

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে যে, তারা যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা অস্থিরতা মোকাবিলায় প্রস্তুত। ডিএমপির ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, "ডাকসু নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনের দিন এবং পরের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্থিতিশীল থাকে তার জন্য আমরা কাজ করছি।"

সব সতর্কতা সত্ত্বেও, শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা একটিই— যে এই নির্বাচন যেন সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক উৎসবে পরিণত হয়।