Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে গুরুতর আহত দুই ছাত্রের মধ্যে একজন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ইমতিয়াজ আহমদ সায়েম ছয় দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন। অন্যদিকে, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র মামুন মিয়ার মাথার খুলির একটি অংশ এখনো ফ্রিজে রাখা আছে।

পার্কভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল শনিবার সায়েমের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড বসে। এই বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষামূলকভাবে তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সায়েমের চেতনার মাত্রা (কনশাস লেভেল) এখন ১০-এর কাছাকাছি, যা স্বাভাবিক মানুষের (১৫) তুলনায় কম হলেও আগের চেয়ে ভালো। তার বাবা-মা দেশবাসীর কাছে ছেলের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

সংঘর্ষে মামুনের মাথায় রামদার কোপে খুলির একটি অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে। বর্তমানে সেই অংশটি ফ্রিজে রাখা আছে এবং তার মাথায় সাদা ব্যান্ডেজে 'হাড় নেই চাপ দেবেন না' লেখা আছে। মামুনের ভাই মাসুদ রানা জানান, মামুন এখন কথা বলতে পারলেও তার স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে তারা শঙ্কিত। চিকিৎসকরা বলেছেন, সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে এবং তাকে অনেক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

গত সপ্তাহের এই সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, শিক্ষার্থী এবং প্রোক্টরিয়াল বডির সদস্যসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।