Image description

শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মুখে পরিস্থিতি মোকাবিলায় শর্তহীন আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন। অন্যদিকে, প্রশাসনের আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরাও রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে দুই সহকারী প্রক্টর কাজ করছেন। আমরা কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আশা করছি, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।

শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান ড. আব্দুল আলীম। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

এর আগে দুপুরে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের শাখা ও ট্রেজারি ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তালা দেওয়ার সময় তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার জন্য ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেন। 

বাকৃবিতে কম্বাইন্ড (সমন্বিত) ডিগ্রি চালুর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন ভেটেরিনারি অনুষদ এবং পশু পালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। রোববার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ নিয়ে চূড়ান্ত সমাধান না আসায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যসহ দুই শতাধিক শিক্ষককে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অবরুদ্ধ করেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে লাঠিসোটা ও দা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বহিরাগতরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রোববার রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে এবং শিক্ষার্থীদের সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেয়।

হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল ছয় দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টা থেকে তারা ময়মনসিংহ নগরীর জব্বারের মোড় এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন। 

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে মহুয়া কমিউটার ট্রেনটি ফাতেমানগর স্টেশনে আটকা পড়ে। শিক্ষার্থীরা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রেললাইন থেকে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।