Image description

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর বাবাকে মৌমিতা বাসের ধাক্কায় নিহত হওয়ার ঘটনায় অবশেষে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়ে আটক করা ১০টি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মৌমিতা পরিবহনের মালিকপক্ষ বাসগুলো জাবি ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে গেছে।

গত ৮ জুলাই রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় মৌমিতা বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত বিনতে জুহুরের বাবা জহুরুল হক নিহত হন। এই ঘটনার জেরে পরদিন শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী মৌমিতা পরিবহনের ১০টি বাস ক্যাম্পাসে নিয়ে এসে আটক করে রেখেছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে গত শুক্রবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস মালিকপক্ষের আলোচনা শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীরা ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও, কয়েক দফা আলোচনার পর গতকাল রাতে বাস কর্তৃপক্ষ নগদ ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। এছাড়া, আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও ৫ লাখ টাকা বাস কর্তৃপক্ষের কল্যাণ তহবিল থেকে দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা। এই সমঝোতার পরই বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নগদ ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগী রিফাতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকি ৫ লাখ টাকা তিন মাসের মধ্যে দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি নেওয়া হয়েছে।

রিফাতের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, নিহত জহুরুল হক ছিলেন তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার ছোট ভাই ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত, যার চিকিৎসার জন্যই জহুরুল হক ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এই দুর্ঘটনায় পরিবারটি তাদের একমাত্র অবলম্বন হারিয়েছে।