সরকারি বাঙলা কলেজ। রাজধানীর মিরপুরে ২৫ একর জায়গা নিয়ে যার অবস্থান। কলেজটি ১৯৬২ সালের ১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। বাঙলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটিতে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ৬২ পেরিয়ে ৬৩ বছরে পদার্পণ করেছে ইতিহাস ঐতিহ্যের এই কলেজটি।
কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিকসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৮৫ সালে কলেজটিকে সরকারিকরণ করা হয় এবং ১৯৯৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে কলেজটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি হতে কলেজটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
১৯৬৪ সালে বাঙলা কলেজ মিরপুরে স্থানান্তরিত হয়। এর আগে প্রতিষ্ঠাকালীন বছরে এর ক্লাস হতো নবকুমার ইনস্টিটিউটে রাতের শিফটে।
সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠার পিছনে রয়েছে অনেক মনীষীদের অতিগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাদের মধ্যে প্রথমে যার নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য, তিনি হলেন ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বাংলা একাডেমিতে কাজ করেছিলেন ‘পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান’ প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে।
১৯৫৯ খ্রি. হতে ১৯৬১ খ্রি. পর্যন্ত ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কার্জন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বক্তা হিসেবে আবুল কাসেম বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন। একটি সভায় তিনি বলেন ‘পশ্চিম পাকিস্তান বহু আগে থেকে উর্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করে উর্দুকে সরকারি ভাষা ও সর্বস্তরে শিক্ষার মাধ্যমরূপে গড়ে তোলার সঠিক প্রচেষ্টায় অনেকদূর এগিয়ে গেছে, উর্দু কলেজকে পাকিস্তান সরকার বিপুল অর্থ ও জমি দিয়ে সাহায্য করেছেন। অথচ এত আন্দোলন সত্বেও বাংলাকে সর্বস্তরে চালু করার উদ্দেশ্যে আমরা বাঙলা কলেজ গড়ে তুলতে পারলাম না। সরকারও এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করছে। সেই সভাগুলিতে আমি এও বলেছিলাম, সরকার এগিয়ে না আসলে আমরা নিজেরাই অদূর ভবিষ্যতে বাঙলা প্রচলন করে দেখাবার উদ্দেশে বাঙলা কলেজ স্থাপন করবো।’
‘বাঙলা কলেজ’ স্থাপনের উদ্যোগকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য ‘বাঙলা কলেজ প্রস্তুতি কমিটি’ গঠন করা হয়।১৯৬১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে কমিটির প্রথম সভা হয়। পরবর্তী সভাগুলো ১৯ ফেব্রুয়ারি এবং ১৮ জুন একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারির সভায় আবুল কাসেম উত্থাপিত প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। প্রস্তাবটি ছিল- ‘বাঙলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে অবিলম্বে ঢাকায় একটি বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হউক’। অবশেষে ১৯৬২ সনের ৪ মার্চ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অবস্থিত রাইটার্স গিল্ড ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় ‘বাঙলা কলেজ’ প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হয়। অধিকাংশ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যাঁরা এসব সভায় উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন- প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ, খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ, কবি জসীম উদ্দিন, কবি গোলাম মোস্তফা, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, পাকিস্তান অবজারভার সম্পাদক আবদুস সালাম, তোফাজ্জল হোসেন, ডক্টর ইন্নাস আলী (পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য), ডক্টর কামালউদ্দীন, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রিন্সিপাল ওসমান গনি, বাংলা একাডেমির তৎকালীন পরিচালক সৈয়দ আলী আহসান, প্রাক্তন ডিপিআই আবদুল হাকিম, ডক্টর হাসান জামান, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, কবি জাহানারা আরজু, আখতার-উল-আলমসহ (পরবর্তীতে ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক )তমদ্দুন মজলিসের আরো বেশ কিছু নেতাকর্মী।
বাঙলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ। খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ (পরবর্তীতে এডিপিআই ও জগন্নাথ কলেজের প্রিন্সিপাল) সহসভাপতি ও প্রাক্তন ডিপিআই আবদুল হাকিম ট্রেজারার নির্বাচিত হন। অবৈতনিক প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষাবিদ আবুল কাসেম।
বাঙলা কলেজ প্রতিষ্ঠার শুরুতে শিক্ষিত বাঙালি বিদ্বান ব্যক্তিদের কেউ কেউ বিরোধিতায় নেমেছিলেন। তাঁদের যুক্তি ছিলো, বাংলা মাধ্যমে লেখাপড়া করলে ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে। এমনকি ‘বাঙলা মৌলবি’ জন্ম হবে বলেও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাঙলা মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর অবাঙালি বিহারিরা বাঙলা কলেজ দখল করে নেয়। দীর্ঘ নয় মাস অবরুদ্ধ ছিলো এ কলেজটি। কলেজের সাইনবোর্ড নামিয়ে এ সময় ‘উর্দু কলেজ’ সাইনবোর্ড লাগানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগীরা বাঙলা কলেজে ক্যাম্প স্থাপন করে অজস্র মুক্তিকামী মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বর্তমান বিন্যাস অনুযায়ী, কলেজের অভ্যন্তরে বড় গেট ও শহীদ মিনারের মাঝামাঝি প্রাচীর সংলগ্ন স্থানে সেসময় পুকুর ছিলো, যেখানে হানাদার বাহিনী মুক্তিকামী মানুষকে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করতো। মূল প্রশাসনিক ভবনের অনেক কক্ষই ছিল নির্যাতন কক্ষ। হোস্টেলের পাশের নিচু জমিতে আটককৃতদের লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করা হত। অধ্যক্ষের বাসভবন সংলগ্ন বাগানে আম গাছের মোটা শিকড়ের গোড়ায় মাথা চেপে ধরে জবাই করা হতো, ফলে হত্যার পর এক পাশে গড়িয়ে পড়তো মাথাগুলো, অন্যপাশে পড়ে থাকত দেহগুলো।
মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় জুড়েই বাঙলা কলেজ ও আশেপাশে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলেছে, হয়েছে নারী নির্যাতন। কলেজের বর্তমান বিশালায়তন মাঠটি তখন ছিলো জঙ্গলে ভর্তি। বিজয়ের মুহূর্তে তখন এই মাঠসহ পুরো এলাকা ও কলেজ জুড়ে পড়ে ছিলো অজস্র জবাই করা দেহ, নরকংকাল, পচা-গলা লাশ। বিভীষিকাময় গণহত্যার চিহ্ন ফুটে ছিলো সর্বত্র।
জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রশাসনিক ভবনের নিচের রুমগুলোকে টর্চারসেল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এখানে আটকে রেখে মেয়েদের ধর্ষণ করা হতো, ধর্ষণের পরে হত্যা করে সামনে থাকা জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হতো। অধ্যক্ষের বাসভবনের যাওয়ার রাস্তার গাব গাছ ও বাসভবনের আশেপাশে থাকা আমগাছের শিকড়ের উপর মানুষ জবাই করা হতো।
কলেজটিতে ১০টি স্থানে গণকবরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এবং চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩টি স্থানে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বের আনুষ্ঠানিক বিজয় লাভ করলেও ঢাকার মিরপুর হানাদার মুক্ত হয় ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি।
চলুন জেনে নেয়া যাক বর্তমান বাঙলা কলেজ সম্পর্কে:
কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান এবং উপাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক মিটুল চৌধুরী দায়িত্ব পালন করছেন ।
প্রায় ২৫ একর জায়গার ওপর নির্মিত বাঙলা কলেজ বর্তমানে ১৯টি বিভাগ রয়েছে।
বিজ্ঞান অনুষদ
* রসায়ন বিভাগ
* পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
* গণিত বিভাগ
* মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ
* প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ
* উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ
* ইংরেজি বিভাগ
* বাংলা বিভাগ
* রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
* সমাজকর্ম বিভাগ
* ইতিহাস বিভাগ
* দর্শন বিভাগ
* ইসলামিক স্টাডিজ
* ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
বাণিজ্য অনুষদ
* হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
* ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ
* অর্থনীতি বিভাগ
* মার্কেটিং বিভাগ
* ব্যবস্থাপনা বিভাগ
উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণী
* বিজ্ঞান
* বাণিজ্য ও
* মানবিক
প্রাঙ্গণ ও অবকাঠামো
কলেজটিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন- একাডেমিক ভবন, গ্রন্থাগার, ল্যাব, আবাসিক হল, বাস, মসজিদ, অডিটোরিয়াম, সুবিশাল খেলার মাঠ ইত্যাদি। এছাড়া কলেজে রয়েছে সুবিশাল একটি পুকুর ও অনেকগুলো ফুলের বাগান যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধন করে।
একাডেমিক ভবন
কলেজটিতে মোট ৮টি ভবন রয়েছে। ভবন সমূহঃ-
* ভবন-১ (প্রশাসনিক ভবন)
* ভবন-২ (কলা ভবন)
* ভবন-৩ (বিজ্ঞান ভবন)
* ভবন-৪
* ভবন-৫ (বানিজ্য ভবন)
* ভবন-৬
* ভবন-৭
* ভবন-৮
গ্রন্থাগার
কলেজের ৭নং ভবনে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার অবস্থিত। লাইব্রেরিতে সজ্জিত পাঠকক্ষসহ বিভিন্ন ধরনের বই সংগৃহীত রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি বিভাগের রয়েছে নিজস্ব গ্রন্থাগার।
মসজিদ
কলেজ ক্যাম্পাসে সকলের জন্য সরকারি বাঙলা কলেজ জামে মসজিদ রয়েছে। যেখানে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের নামাজ আদায় করার জন্য নির্ধারিত স্থানের সুব্যবস্থা রয়েছে।
খেলার মাঠ
কলেজের নিজস্ব এক বিশাল মাঠ রয়েছে যেখানে ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
যাতায়াত ব্যবস্থা
প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে "বিজয়" ও "স্বাধীনতা" নামের মাত্র ২টি বাস। যা শিডিউল অনুযায়ী শহরের নির্ধারিত রুট হতে শিক্ষার্থীদের কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে এবং ক্যাম্পাস হতে নিয়ে যায়।
এছাড়াও ক্যাম্পাসের রুটে অনেক লোকাল ও সিটিং সার্ভিস বাস ও বিআরটিসি বাস প্রতিনিয়ত চলাচল করে। যা ব্যবহার করেও শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করে থাকে।
আবাসন ব্যবস্থা
বর্তমানে কলেজটিতে থাকার জন্য আবাসিকভাবে ছাত্রদের জন্য "প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম ছাত্রাবাস" ও " শহিদ সাগর ছাত্রাবাস" নামের দুটি হল আছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি অনুদানে ছাত্রদের জন্য আরও ১টি হল এবং ছাত্রীদের জন্য ১টি হল নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে কলেজ প্রশাসন।
সরকারি বাঙলা কলেজের সংগঠনসমূহ:
রাজনৈতিক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন
বাঙলা কলেজ যুব থিয়েটার (বাকযুথি), বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি (বাকসাস), বাঙলা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি, বাঙলা কলেজ আবৃত্তি সংসদ, বাঙলা কলেজ সাহিত্য সংসদ, বাঙলা কলেজ চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র সংসদ, বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন), পথের দাবী (সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন), ক্লিন এন্ড গ্রীন ক্যাম্পাস, সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন, ইয়ুথ গ্রাসিয়াস হিউম্যান, বাঙলা কলেজ বিজনেস এন্ত ক্যারিয়ার ক্লাব।
অন্যান্য সংগঠনসমূহ:
বিএনসিসি (সেনা, নৌ), রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, বাঙলা কলেজ রেঞ্জার ইউনিট (গার্লস গাইড), বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ৭১'র চেতনা, বাঙলা কলেজ ফেন্সিং ক্লাব, বাঙলা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব, বাঙলা কলেজ ব্যবসা ক্লাব, বাঙলা কলেজ ইংরেজি ভাষা ক্লাব, বাঙলা কলেজ কুইজ ক্লাব, বাঙলা কলেজ ক্যারিয়ার ক্লাব, বাঙলা কলেজ পরিবেশ ক্লাব, দৈনিক অধিকার ''বন্ধুমঞ্চ'',
কলেজেটির প্রশাসনিক ভবনের পাশেই রয়েছে শহিদ মিনার, যা বাংলা ভাষায় ঐতিহ্যকে লালন করে। পাশাপাশি বাঙলা কলেজ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেও ধারণ করে ।
লেখক: সহ সম্পাদক, দৈনিক মানবকণ্ঠ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপদেষ্টা, বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি (বাকসাস)
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments