ধামরাইয়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কেরানীর ঘুষ বানিজ্যের ভিডিও ভাইরাল

ঢাকার ধামরাইয়ে কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কেরানী আব্দুর রহমানের টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ( ফেইসবুক) এ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা ঝড়। প্রতিনিয়ত সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কেরানী আব্দুর রহমান দলিল প্রতি দলিল লেখকদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে থাকেন বলে জানা যায়। কিন্তু দলিল লেখকদের কাছে থেকে দলিল প্রতি এন এন ফি বাবদ ৫৭২ টাকা সরকারি ফি নেওয়ার কথা থাকলেও নিয়ে থাকেন অনেক বেশি। এরপরও লেখকদের ফি এর টাকা নেওয়ার পরও অনেক লেখকই এর কোন রিসিভ পান নি। কিন্তু কিসের জন্য অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন এর কোন সদুত্তর এখনো পাওয়া যায় নি।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরের দিকে টাকা নেওয়ার ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক) এ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সুশীল সমাজের মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে।
তবে দির্ঘদিন ধরে কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে স্থায়ী কোন সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় পার্টটাইম অফিস করেন সাব রেজিস্ট্রার নাজমুল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক বলেন, সাব কাবলা দলিলে সেরেস্তা ১০০০, উচ্চ মূল্য দলিলে প্রতি লাখে ১০০, দানপত্র দলিলে সেরেস্তা ১০০০, হেবা ঘোষণা সেরেস্তা ১০০০ এবং প্রতি শতাংশে ৪০ টাকা, কমিশন রেজিস্ট্রি করতে সরকারি ফি ৭০০/৮০০ টাকা কিন্তু দিতে হয় ১৫০০০, ধামরাইয়ের বাইরে হলে আরো বেশি টাকা দিতে হয়। পাওয়ার দলিলে সেরেস্তা ১০০০ এবং দলিল প্রতি কেরানীর হাতে দিতে হয় ৫০০০-১০০০০ টাকা। পাওয়ার মর্গেজে কেরানীর মাধ্যমে আলোচনা সাপেক্ষে ৫- ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়ে থাকে। পাওয়ার থেকে সাব কাবলা দলিলে কেরানীকে দিতে হয় ৫০০০ টাকা। সাব রেজিস্ট্রারের অন্তরালে প্রতি দলিলে সেরেস্তা বাবদ বাধ্যতামূলক কেরানীকে দিতে হয় ১০০০ টাকা। তবে এই টাকা কি করেন কেরানী আব্দুর রহমান তা জানা যায় নি।
তবে সাব রেজিস্ট্রারের ওই কেরানী কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বদলি হয়ে আসার পরই টাকা লেনদেনের কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। দলিল সম্পাদনের সময় অফিস কক্ষে এক বা দুই জনের বেশি দলিল লেখক কক্ষে প্রবেশ করতে পারেন না।
এ বিষয়ে কেরানী আব্দুর রহমান টাকা লেনদেনের বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, এন এন ফি বাবদ ৫৭২ টাকা নেওয়া হয়। এর বেশি কোন টাকা নেওয়া হয় না। এই টাকার কথা সবাই জানে। এটা সরকারি ফি।
এ বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার নাজমুল বলেন, এন এন ফি নামে একটি সরকারি ফি আছে সেটা নিয়ে থাকেন। তাৎক্ষণিক কেউ রশিদ নেন না। ওই ফি হলো ৫৭২ টাকা যা রশিদের মাধ্যমে আদায় করার কথা। আমরা রশিদ তৈরি করেছি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে অনেকেই রশিদ নেন না। তবে কেউ এক সাথে দুইটি দলিল দিলে তখন টাকা বেশি দেখা যায়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ( ফেইসবুক) এ ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে কিছুই বলেন নি।
Comments