Image description

নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নড়াইল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসীসুত্রে জানা গেছে, গন্ধর্ব্যখালীগ্রামের ইউপি সদস্য জাফরশেখ গ্রুপের সাথে একই গ্রামের নূর ইসলাম ও রোস্তম গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। শুক্রবার বিকালে জাফর শেখের সমর্থক জিল্লূর রহমানকে প্রতিপক্ষ রোস্তম গ্রুপের লোকজন মারধর করে। পরে তাকে নড়াইল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রাদি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। 

আহতদের মধ্যে জাফর শেখ গ্রুপের আলমগীর শেখ (৪২), রহমান সরদার (৫৫), এসকেন সরদার (৫৫), মহাসেন সরদার (৫৭) ও মাহিম (১৯) এবং নুর ইসলাম ও রোস্তম গ্রুপের লিমন সরদার (২৫), শরিফুল মোল্যা (৪৫), রোস্তম সরদার (৫৫), কেসমত মোল্যা (২৭), শফিক মোল্যা (৩৫), রেহাব মোড়ল (২২), সাদ্দাম সিকদার (৩২), নুর ইসলাম (৪০) ও সৌরভ সিকদার (১৫) নড়াইল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

আহত লিমন সরদার অভিযোগ করে বলেন ‘প্রতিপক্ষ গ্রুপের এক মাতুব্বর সাঈদ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা। আমরা যুবদলের একটা প্রোগ্রামে যাওয়ার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর মামলা করেছে।’

এদিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের মাতুব্বর স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর শেখ বলেন,‘ গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আমি একজন মৎস্যজীবি দলের নেতা। ‍মুলতঃ প্রশাসিনকি সুবিধা নেয়ার চেষ্টায় তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক মারামারি বলে প্রচারণা চালাচ্ছে।’

নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয়পক্ষ মামলা দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।