কুষ্টিয়ায় সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

কুষ্টিয়ায় সৈয়দ মাছ-উদ রুমি সেতুর টোল আদায় স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কুমারখালী-খোকসা উপজেলার সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টা থেকে সেতুর পশ্চিম পাশে টোল প্লাজার সামনে এই কর্মসূচি শুরু হয়। টানা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এর ফলে ওই সময় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম, কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রৌকশলী মঞ্জুরুল করীম ও কুমারখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই'র মধ্যস্থতায় যান চালাচল স্বাভাবিক হয়।
মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক নেতা কেএমআর শাহীন, আপ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা সুলতান মারুফ তালহাসহ আরও অনেকে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সকলেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তারা এই টোল আদায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন যতদিন না চূড়ান্তভাবে এটি বাতিল করা হয়।
বক্তারা জানান, “এই সেতু দিয়ে চলাচল করা সাধারণ মানুষের ওপর টোল চাপিয়ে দেওয়া এক ধরনের চাঁদাবাজি ছাড়া কিছুই না। সেতু নির্মাণের খরচ সরকার বহু আগেই আদায় করে নিয়েছে। এখন জনগণের ওপর এই বোঝা চাপিয়ে দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।” “৫ আগস্টের পরও যদি টোল আদায়ের চেষ্টা করা হয়, তবে আরও বড় কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া পথচারীরাও তাদের সমর্থন জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, “সেতুটি আমাদের চলাচলের প্রধান পথ। আগে কোনো টোল ছিল না, এখন হঠাৎ করে চালু হওয়ায় আমাদের কষ্ট হচ্ছে।”
স্কুল শিক্ষার্থী তামান্না ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন সেতু পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয়। কোনো গাড়িতে উঠলে টোলের জন্য বাড়তি ভাড়া দিতে হয়। আমাদের পরিবার এটা বহন করতে হিমশিম খায়।”
সাংবাদিক নেতা কেএমআর শাহীন বলেন, “সরকার চাইলে অন্য রাজস্ব উৎস থেকে আয় বাড়াতে পারে। জনগণের পকেট কেটে টোল আদায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।”
আপ বাংলাদেশ নেতা সুলতান মারুফ তালহা বলেন, “আমরা রাজস্ব আদায়ের পক্ষে, তবে তা হতে হবে সুষম এবং ন্যায্য। একজন ভ্যানচালক বা রিকশাচালকের কাছ থেকে টোল নেওয়া চরম অমানবিক কাজ।
Comments