অযত্ন অবহেলায় কালকিনি মিনি ষ্টেডিয়াম, পরিনত হয়েছে মাদকসেবীদের আস্তানায়

মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত উপজেলার একমাত্র মিনি ষ্টেডিয়ামটি এখন জরাজীর্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। বর্তমানে এই শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা বিধায় দিন দিন এটা মাদকসেবীদের আস্তানায় পরিনত হয়েছে। ফলে উপজেলার যে কোন খেলাধুলা বা ক্রীড়া সংস্থার অধিকাংশ আয়োজনই এখন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে হয়ে থাকে। অথচ শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামটি অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এই মাঠটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
জানা যায়, ২০১৭ সালে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে পালরদী নদীর পাড়ের প্রাচীন খেলার মাঠটিকে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামকরন করে এটির উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু স্টেডিয়ামটির এখন বেহাল দশা। গ্যালারী হিসেবে বানানো বেঞ্চ গুলো ভেঙ্গে পরেছে। নেই কোন বাউন্ডারী ওয়াল। ষ্টেডিয়ামের সাথে একটি অফিস ভবন ও বাথরুম নির্মান করা হলেও সেখানে কোন কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি অফিসের বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক মালামালও চুরি হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে উপজেলার খেলাধুলার প্রানকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি এখন দিনে দিনে অব্যবহৃত থাকায় বিলীন হতে বসেছে।
এছাড়া প্রতিবছর কুরবানীর সময় এখানে গরুর হাট বসানোর ফলে মাট নষ্ট হয়ে খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উচু নিচু এ মাঠে খেলতে এসে অনেকে ইনজুরিতে পরছেন। স্টেডিয়ামটির এই করুন দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় যুবক ও খেলোয়াররা। তারা অবিলম্বে এই স্টেডিয়ামটিকে সংস্কার করে এটাকে খেলার উপযোগি মাঠ এবং দর্শকরা যাতে এখানে বসতে পারে সে জন্য গ্যালারীগুলোকে পুনঃনির্মান করার দাবি জানান। পাশাপাশি স্টেডিয়ামটির যে অফিস ভবন ও বাথরুম রয়েছে সেটাও এখন পরিত্যক্ত। এটিকেও ব্যাবহারের উপযোগি করার দাবি জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান, শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামটি তারা চিনে গরুর হাট হিসেবে। আর এটার অফিস ভবনের কাজ হয়েছে নিন্মমানের, যার কারনে এটি তৈরির অল্প দিনের ভিতরে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া যুব সমাজ খেলাধুলার জায়গা না পেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। তাই অবিলম্বে এই স্টেডিয়ামটি সংস্কারের দাবি তাদের।
এদিকে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি সংস্কার করা জরুরী মনে করে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফ উল আরেফিন শুনালেন আশার বানী। তিনি বলেন, বরাদ্দ পেলে শীঘ্রই স্টেডিয়ামটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
তবে শুধু আশ্বাস নয়, দ্রুত স্টেডিয়ামটি সংস্কার করে এলাকার জনগণের খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হোক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
Comments