Image description

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পাঁচলক্ষী এলাকায় সোহাগ এগ্রো ফুড লিঃ এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে ডাকাতির সময় নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করা হয়।

পুলিশ ও এগ্রো ফুড সূত্রে জানা যায়, ২৫/২৬ জনের ডাকাত সদস্যরা অটোরাইচ মিলের পশ্চিম পাশের বাউন্ডারি টপকিয়ে মিলে প্রবেশ করে। বিদেশী পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাত দল ভিতরে প্রবেশ করে।  প্রথমে তারা সিকিউরিটি গার্ডকে  হাত পা মুখ বেঁধে মিলের উপরের লেবারের রুমে নিয়ে। পরে রুমে থাকা প্রত্যেকটি লেবারের হাত পা মুখ বেঁধে অচেতন নাশক পানি পান করিয়ে সবাইকে অচেতন করে ফেলে। কেও পানি পান না করলে তাদের প্রচন্ড মারধর করা হয়। সোহাগ এগ্রো ফুড লিঃ অফিস থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা, দুটি কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ, মেশিনারি তার, কয়েল, মোটর, মূল্যবান মালামাল লুট করে ডাকাত দলেরা সদস্যরা পালিয়ে যায়। 

সিকিউরিটি গার্ড হানিফ জানান, রাত দুইটার দিকে দুইজন লোক ভিতরে আসে। আমি জিজ্ঞেস করলে তার সাথে সাথে ৪/৬ জন লোক এসে আমাকে ধরে হাত পা মুখ বেধে উপড়ে নিয়ে রুমে আটকিয়ে রাখে। উপড়ে শুয়ে থাকা ১৭/১৮ জন লেবারের মারধর করে তাদের সবার হাত মুখ বেধেঁ জোড় কনে পানি খাওয়ানো হয় এবং তারা অচেতন হয়ে পড়ে। 

মানিক, শাহীন, আমিনুল, সফিকুল জানান, আমাদের সবাইকে  হাত পা মুখ  বেঁধে নেশার পানি খাওয়ানো পর আমরা সবাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি তারপর কিছু বলতে পারবো না। যে পানি না খাইতে চাইছে তাদেরকে মারধর করেছে। সোহাগ পল্লী রিসোর্টের ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, চন্দ্রা থেকে সিনাবহ ও ফায়ার সার্ভিস থেকে সিনাবহ রাস্তায়  প্রায় প্রায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের টহল ব্যবস্থা যেন সবসময় থাকে। রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকার কারনে স্থানীয় লোকজন আতংকে থাকে তাই সারা রাস্তায় লাইটের ব্যবস্থা করা হলে ভালো হয়। 

সোহাগ ফুড এগ্রো লিঃ ম্যানেজার রাইসুল ইসলাম রিপন জানান, আমাদের এগ্রোতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কত টাকার মালামাল লুট হয়েছে এখনি কিছু বলতে পারবনা। আমাদের কিছু লেবার চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

সোহাগ ফুড এগ্রো লিঃ চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান জানান, আমার এখান থেকে পায় ৬৫-৭০ লাখ টাকার মতো জিনিস পত্র ঢাকাত দল নিয়ে গেছে।