Image description

দেশে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রিতে প্রতিবছর হানা দেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এবারও সিন্ডিকেটের কারনে চামড়ার ন্যায্য দাম পায়নি ব্যবসাসায়ীরা। সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় কম দামে চামড়া বিক্রি হওয়ায় হতাশ ও ক্ষুদ্ধ  চামড়া সংগ্রহকারীরা। এ বছর ঈদের দিনে আড়তে ভালো দামের আশায় যারা কোরবানির চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন তাদের সেই আশা পূরন হয় নাই। সেসাথে ফরিদপুরের মধুখালীতে লবণ সংকট থাকায় আরো বিপাকে পড়েছে চামড়া ব্যবসায়ীরা। ফলে চামড়া নদীতে ফেলে দিয়ে রক্ষা করেন পরিবেশ।

মধুখালী সরেজমিনে জানা যায়, এ বছর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানী কৃত পশুর চামড়া স্থানীয় ভাবে একজন স্থায়ী চামড়া ব্যবসায়ী ও মৌসুমী ৩/৪ জন মিলে উপজেলার পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন বলে স্থায়ী চামড়া ব্যবসায়ী মোঃ রমজান আলী মিয়া জানান।

স্থায়ী চামড়া ব্যবসায়ী মোঃ রমজান আলী মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান এ বছর লবনের সংকট রয়েছে যে কারনে ঈদের দিনই ৪শ ৫০টি গরু ও ছাগলের ২ হাজার ১শ টি চামড়া পৌরসভার মাধ্যমে টাকা দিয়ে ফেলতে  হয়েছে যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। লবন দিয়ে প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাত করে চামড়া সংরক্ষণ করি। লবনের সংকট থাকায় আমরা সেটা করতে পারি নাই যে কারনে ফেলে দিতে হয়েছে। খোলা বাজারে যে লবন পাওয়া গেছে সেটাও বারতি দামে একবস্তা লবনে ২শ ৫০ টাকা বেশী দিয়ে নিতে হয়েছে। এ বছর গরু প্রতি ২শ থেকে ৮শ টাকা এবং একটি খাসির চামড়া ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় ক্রয় করেছি। ঘরে প্রায় ৫শ ৫০টি গরু ও ৮শ ৫০টি ছাগলের চামড়া মজুদ আছে। লবনের ব্যবস্থা করতে  না পারলে  শেষ পর্যন্ত কি করতে হয় সেটা বলতে পারছিনা। 

স্থানীয় মৌসুমী  চামড়া ব্যবসায়ী হিরু শেখ গ্রামে বাড়ী বাড়ী গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করেন লাভের আশায়, কিন্তু  সে আশা তার পুরন হয় নাই। তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন নিজ গ্রাম ও আশেপাশ থেকে কিছু চামড়া সংগ্রহ করে আড়তে দিয়েছিলাম তেমন লাভ না হলেও লোকসান হয় নাই । আসল ঘরে এসেছে।