Image description

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে গত ৮ জুন একজন দর্শনার্থীকে মারধর এবং ১০ জুন উত্তেজিত জনতার ভাঙচুরের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান হলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. বরমান হোসেন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমান।

এই ঘটনায় শাহজাদপুর থানা পুলিশ আব্দুস সালাম ও সাইদুর রহমান রত্ন নামে দুজনকে আটক করেছে।

উল্লেখ্য গত ৮ জুন দুবাই প্রবাসী শাহনেওয়াজ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাছারিবাড়ি পরিদর্শনে গেলে পার্কিং ফি নিয়ে গেটের এক কর্মচারীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই দর্শনার্থীকে অডিটোরিয়ামের ভেতরে আটকিয়ে মারধর করা হয় এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। এই মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়। ভুক্তভোগী শাহনেওয়াজ ঐ দিন রাতেই কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমানকে ১ নম্বর আসামি করে শাহজাদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মারধরের ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত মঙ্গলবার (১০ জুন) স্থানীয়রা শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। পরে উত্তেজিত জনতা কাছারিবাড়িতে প্রবেশ করে অডিটোরিয়ামের দরজা ও জানালা ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং শাহজাদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

১০ জুনের অডিটোরিয়াম ভাঙচুরের ঘটনায় কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে তদন্ত কমিটি শাহজাদপুরের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক ও সুধী সমাজের সাথে ঘটনার বিষয়ে কথা বলেছে। মারধরের শিকার শাহনেওয়াজের দায়ের করা লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

এদিকে, দর্শনার্থীদের প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য গত বুধবার (১১ জুন) থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। কাছারিবাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছুটিতে থাকায় ওসি অপারেশন আবু সাঈদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে বারবার ফোন কেটে দেন।