Image description

চুয়াডাঙ্গায় চলতি জুন মাসের শুরু থেকে টানা দশ দিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। প্রতিদিন সকাল সাতটার পর থেকেই সূর্যের প্রখর তাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত দশ দিনে জেলার তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

আজ শুক্রবার (১৩ জুন) বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৫৯ শতাংশ।

এই তীব্র গরম ও ভ্যাপসা আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খোলা জায়গায় কাজ করা মানুষরা। অনেকেই ছায়া কিংবা ঠাণ্ডা জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রখর রোদের কারণে সাধারণ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। রিকশা চালকরা যাত্রী না পেয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতা নিয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শহরের এক পথচারী মাসুদ রানা বলেন, “প্রচণ্ড গরমের কারণে বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে বের হতে হলেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। বৃষ্টি হলে কিছুটা স্বস্তি মিলত।”

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল ইসলাম জানান, জেলার ওপর দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির কারণে গরমের অনুভূতি আরও বেশি লাগছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ১৫ জুনের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা তাপমাত্রা কমিয়ে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে।

স্থানীয়রা এখন একটুখানি বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন, যা এই অসহনীয় গরম থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে পারে।