Image description

গ্যাসের তীব্র সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে গাজীপুরের শিল্পকারখানার উৎপাদন। পাশাপাশি বেড়েছে লোডশেডিং। ডিজেলচালিত জেনারেটরে খরচ বাড়ার কারণে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। কমেছে উৎপাদন সক্ষমতা। এ পরিস্থিতিতে কারখানা সচল রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মালিকেরা।

গাজীপুরে পোশাক শিল্পের কারখানার পাশাপাশি রয়েছে ওষুধ, চামড়া, সিরামিকের কারখানাও। এসব কারখানার যন্ত্রপাতি সচল রাখার জন্য কমপক্ষে ৩ পিএসআই গ্যাস সরবরাহ লাগে। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ পিএসআই।

এ অবস্থায় অধিকাংশ সময় বেকার বসে থাকতে হচ্ছে শ্রমিকদের। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। কমেছে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতাও। ফলে শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। সময়মতো পণ্য সরবরাহ এবং শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় উদ্যোক্তারা। 

শিল্প কারখানার মালিকেরা বলছেন, গ্যাস সংকটের কারণে তারা সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে পারছেন না। এসময় তারা কারখানায় সোলার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য সরকারের তরফ থেকে সহযোগিতাও আশা করেন। 

কারখানা বাঁচাতে দ্রুত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট দূর করার আহ্বান জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। 

সংকট নিরসনে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। গ্যাস লাইনে সরবরাহ বাড়লেই সমস্যার সমাধান হবে। 

গাজীপুরে ৫ হাজারের মতো ছোটবড় কারখানা রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই গ্যাস সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল।