Image description

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ এই দাবিগুলো উত্থাপন করেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে। এছাড়া, সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় তা প্রত্যাখ্যান করে পূর্বঘোষিত তিন দফা দাবি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন আকারে জারির দাবি জানানো হয়।

জুবায়ের আহমেদ বলেন, “আমাদের প্রতিনিধিত্বের অনুপস্থিতির কারণে সরকারের গঠিত কমিটি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।” তিনি আরও জানান, আন্দোলন চলাকালে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট করে জানান, তাদের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি:

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষমা ও জবাবদিহি: শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।

তদন্ত কমিটি সংস্কার ও দাবি বাস্তবায়ন: সরকারের গঠিত কমিটিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে কমিটি সংস্কার করে পূর্বঘোষিত তিন দফা দাবি দ্রুত নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারির নিশ্চয়তা দিতে হবে।

আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা: আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে আর কোনো হামলা চালানো যাবে না।

হামলাকারীদের শাস্তি: প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকনের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

পুলিশ কর্মকর্তার বহিষ্কার: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলার জন্য ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের এই দাবিগুলো মানা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।