ভারতের পাঞ্জাব রাজ্য গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যার পানিতে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর কৃষিজমি তলিয়ে গেছে। রোববার  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই তথ্য জানিয়েছে।

পাঞ্জাবের ২৩টি জেলার মোট ১ হাজার ৯৯৬টি গ্রাম এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হোশিয়ারপুর ও অমৃতসরে সর্বোচ্চ সাতজন করে নিহত হয়েছেন।

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হারপাল সিং চীমা এই বন্যাকে 'পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ' বলে উল্লেখ করে জানান, কৃষি, ঘরবাড়ি, অবকাঠামো এবং গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৮৫৪ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ২০০টি ত্রাণ শিবিরে সাত হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

বন্যায় উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য রাজ্যে ২৪টি এনডিআরএফ দল, দুটি এসডিআরএফ দল এবং ১৪৪টি নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে।

ভারী বৃষ্টি এবং প্রতিবেশী হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের পাহাড়ি এলাকার নদীগুলোর উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে পাঞ্জাবের শতদ্রু, বিয়াস ও রাভি নদীসহ অন্যান্য মৌসুমি নদী ফুলে-ফেঁপে উঠেছে।

তবে, আম আদমি পার্টি (আপ) এই বন্যার কারণ হিসেবে অবৈধ খননকে দায়ী করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সমালোচনা করেছে। তারা অভিযোগ করেছে যে, বিজেপি নেতারা শুধু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছবি তুলেছেন, কিন্তু কোনো আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দেননি।