Image description

শরীয়তপুরের নড়িয়া থানায় আটক হওয়া মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ৯টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ এরই মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

পুলিশ জানায়, নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামে একটি পারিবারিক কলহের জেরে মাসুম খানের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার বাদী হয়ে নোয়াদ্দা বাংলাবাজার গ্রামের স্বপন হাওলাদারের ছেলে শাওন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।  বৃহস্পতিবার রাতে  জব্দকৃত মোটরসাইকেলগুলো ছাড়িয়ে নিতে নড়িয়া পৌর যুবদল সভাপতি নুরুজ্জামান শেখের ভাতিজা শাহীন শেখের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল থানায় হামলা চালায়।

হামলাকারীরা থানায় প্রবেশ করে সরাসরি অফিসার্স ফোর্স রুমে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় কর্তব্যরত ডিএসবি সদস্য বিল্লাল হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে।

নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা জানান, হামলায় থানার জানালার থাই গ্লাসসহ স্থাপনায় ক্ষতি হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম এই হামলার ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “একটি পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে থানা হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের একজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হামলাকারীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি এবং আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”