Image description

কলম্বোতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়্যাানডেতে বড় ব্যবধানে হারের পর মেহেদী হাসান মিরাজের দল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৬ রানের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে। এই জয়ে বড় অবদান রেখেছেন তরুণ স্পিনার তানভির ইসলাম, যিনি নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ৫ উইকেট শিকার করেছেন।

প্রথমে ব্যাট করে ৪৫.৫ ওভারে ২৪৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে গুটিয়ে যায়।

মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম একাই ভেঙে দেন লঙ্কান ব্যাটিংয়ের মাঝের স্তম্ভ। ৮ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৫টি মূল্যবান উইকেট, যার মধ্যে ছিল কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, দুনিথ ওয়েলালাগে এবং মাহিশ থিকশানার উইকেট। দুটি ওভার করেন মেইডেন। তার দুর্দান্ত স্পেলেই ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ।

শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথমেই হারায় তানজিদ হাসানকে (৭)। এরপর ইমন ও শান্ত কিছুটা স্থিতি আনলেও শান্ত ফিরেন মাত্র ১৪ রানে। তবে ইমন তুলে নেন ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি এবং শেষ পর্যন্ত খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস। মিরাজ (৯) ও শামীম (২২) ব্যর্থ হলেও হৃদয় খেলেন ধীরস্থির এক ফিফটি (৫১), আর শেষদিকে তানজিম সাকিব ঝড়ো ৩৩ রান করে দলের স্কোর ২৪৮-এ পৌঁছে দেন।

লঙ্কান বোলারদের মধ্যে আসিথা ফার্নান্দো ৪ উইকেট ও হাসারাঙ্গা ৩ উইকেট নেন।

২৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও কুশল মেন্ডিস (৫৬) এবং জানিথ লিয়ানাগে (৭৮) ম্যাচে ফেরান শ্রীলঙ্কাকে। বিশেষ করে মেন্ডিসের ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি ম্যাচে একসময় লঙ্কানদের এগিয়ে রাখে। কিন্তু তানভিরের স্পিন আক্রমণে ধস নামে মিডল অর্ডারে।

শেষদিকে লিয়ানাগে ও চামিরা ৫৮ রানের জুটি গড়লেও মুস্তাফিজুর রহমান লিয়ানাগেকে ফিরিয়ে শেষ আশাটুকুও শেষ করে দেন। ৮৫ বলে ৭৮ রান করেন লিয়ানাগে। এরপর সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন চামিরা, ২৩২ রানেই থেমে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।

এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এখন ১-১ ব্যবধানে সমতায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি এখন হয়ে উঠেছে ‘ফাইনাল’।