
দীর্ঘ ১৮ মাস পর টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রবাত জয়াসুরিয়ার বলকে সুইপ করে ২ রান নিয়ে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক। এদিকে অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও রয়েছেন সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়, ফিরে পেয়েছেন ফর্মের ছোঁয়া।
মঙ্গলবার গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দিন শেষে টাইগারদের স্কোরবোর্ডে ২৩৪ রান, উইকেট গেছে ৩টি। শান্ত ১০১ রানে অপরাজিত, মুশফিক ৮৬ রানে ক্রিজে। দুজন গড়েছেন ১৮৯ রানের দুর্দান্ত জুটি।
দলের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ০ রানে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়। দলীয় ৩৯ রানে ফিরে যান সাদমান ইসলাম (১৪)। এরপর মুমিনুল হকের ২৯ রানের ইনিংস থামে ৪৫ রানে। থারিন্দু রত্নানায়েকের ঘূর্ণিতে পরপর উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
এই বিপর্যয়ের মাঝেই অভিজ্ঞতার পরিচয় দেন শান্ত ও মুশফিক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনই প্রথমে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন, পরে ছন্দে ফেরেন। মধ্যাহ্ন বিরতিতে দলের সংগ্রহ ছিল ৯০/৩। এরপর ফিফটি পূর্ণ করেন দুজনই, চা বিরতির আগেই পার করেন ১৩৭ রানের জুটি। চা বিরতির পর শান্ত পূর্ণ করেন কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি। তার আগের শতকটি এসেছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে, সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর টানা ১১ টেস্টে ফিফটি পেলেও শতক পাননি।
অন্যদিকে মুশফিকের জন্য এটি হতে পারে বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি। ২০২৩ সালের আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রানের ইনিংসের পর টানা সাত টেস্টে ফিফটি না পাওয়ার হতাশা ভোলাতে চলেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। এদিন তিনি ব্যাটিং করছেন পুরনো মেজাজে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের দুই চক্রে তলানিতে থাকলেও এবার শুরুটা ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। ২০২৩–২৫ চক্রের শেষভাগে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে সাতে উঠে এসেছিল দল। এবার নতুন চক্রে জয় বাড়িয়ে অন্তত ছয়ে উঠতে চায় শান্তর নেতৃত্বাধীন দল।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, এনামুল হক, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, জাকের আলী, তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও নাঈম হাসান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, কামিন্দু মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কুশাল মেন্ডিস (উইকেটকিপার), মিলান রত্নায়েকা, থারিন্দু রত্নায়েকা, প্রভাত জয়সুরিয়া, আসিথা ফার্নান্দো।
Comments