Image description

চলতি বছরই নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। এ টুর্নামেন্টের আয়োজক বাংলাদেশ। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের আগে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে টাইগ্রেসরা। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে সিরিজেও দেখা গেছে উত্তাপ। ওই উত্তাপের স্মৃতি নিয়ে আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে টাইগ্রেসদের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর।

আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে সংগ্রহ পায় ভারতের মেয়েরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে হারিয়ে ১০১ রানে থামে টাইগ্রেসরা। তাতে ৪৪ রানের বড় জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো হারমানপ্রীতের দল। 

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলে ভারত। তবে থিতু হয়ে জুটি গড়ার আগে বাংলাদেশকে তৃতীয় ওভারেই এনে দেন পেসার ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। ওপেনরা স্মৃতি মান্ধানাকে ৯ রানে বোল্ড করেন ফারিহা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে শেফালি ভার্মা ও স্বস্তিকা ভাটিয়া ৩১ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন।

দলীয় ৬১ রানে রাবেয়ার ঘূর্ণিতে শেফালি ২২ বলে ৩১ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর তৃতীয় উইকেটে হারমানপ্রীত কৌরকে সঙ্গে নিয়ে স্বস্তিকা গড়েন আরও ৪৫ রানের জুটি। ২২ বলে ৩০ রান করে অধিনায়ক হারমানপ্রীত লেগ স্পিনার ফাহিমার ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হন। স্কোরবোর্ডে আরও দুই রান যোগ হতেই এবার ফেরেন স্বস্তিকা। ভারতীয় এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩৬ রান।

শেষ দিকে বেশি রান তুলতে পারেননি ভারতীয় ব্যাটাররা। ১৫ ওভারে তাদের রান ছিল ৪ উইকেটে ১১০। সেখান থেকে বাকি ৫ ওভারে তারা যোগ করতে পেরেছে তিন উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে মারুফা মাত্র ২ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। আর তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় হারমানপ্রীতের দল। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন রাবেয়া খান।

ভারতের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি টাইগ্রেসরা। ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার দিলারা খাতুনকে ফিরিয়ে দেন ভারতীয় পেসার রেনুকা সিং। রেনুকা পরে আরও ২ উইকেট শিকার করেন। তিনে নামা সোবহানা মোস্তারি ফিরেছেন মাত্র ৬ রান করে। আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুনও বেশিক্ষণ থাকেননি, বিদায় নেন ১৩ রান করে।

রানা তাড়ায় দলীয় ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে টাইগ্রেসরা। সেখান থেকে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গী দিতে পারেননি কেউ। ব্যাটিংয়ে আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যাক্তিগত অর্ধশতক করেন জ্যোতি। তবে ফিফটির পর বেশিক্ষন উইকেটে টিকতে পারেননি তিনি। দলীয় ৯৯ রানে ব্যাক্তিগত ৫১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। 

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। তাতে ৪৪ রানের জয় পায় টাইগ্রেসরা। আর ভারতের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রেণুকা সিং ঠাকুর। 

মানবকণ্ঠ/এসআরএস