Image description

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের দাবি করেছেন, শিবির নেতা সাদিক কায়েম চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তবে তিনি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে তাঁদের অবদান ও ত্যাগের বিনিময়ে ক্ষমতার ‘যথাযথ হিস্যা’ দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) বিকেলে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ক্ষমতার হিস্যা নিয়ে বিতর্ক

আব্দুল কাদের লিখেছেন, অভ্যুত্থানের পর জামাত-শিবিরের পক্ষ থেকে ঢাবি শিবিরের একজন সাবেক সভাপতি এবং এক শিবির নেতার স্ত্রী ক্ষমতার হিস্যা বণ্টনের বিষয়ে লিঁয়াজো করছিলেন। তারা সচিবালয়, মন্ত্রণালয় ও আমলাতন্ত্রে নিজেদের মতাদর্শী ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য তদবির করেন। তিনি বলেন, “শুরুতে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু কিছুদিন পর সমস্যা শুরু হয়। ওই দুই ব্যক্তি আসিফ নাহিদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির পক্ষে সুপারিশ করছিলেন, তবে আসিফ ও নাহিদকে না জানিয়েই।”

আসিফ-নাহিদের আপত্তি

তিনি আরও জানান, আসিফ ও নাহিদ এইভাবে তাদের নাম ব্যবহার করাকে সমীচীন মনে করেননি। ফলে মন্ত্রণালয়গুলোতে চিঠি পাঠানো হয়, যাতে বলা হয়, আসিফ ও নাহিদের নাম ভাঙ্গিয়ে তদবির করলে তা গ্রহণ না করতে। এরপর সাদিক কায়েম আব্দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি লিখেছেন, “সাদিক ভাই এক রাতে আমাকে ফোন দেন, দেখা করতে চান। সন্ধ্যা থেকে রাত চারটা পর্যন্ত ম্যাসেজ দেন। আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে থাকলেও তাঁর পীড়াপীড়িতে রাত চারটায় ঢাবি ভিসি চত্বরে দেখা করি। কথা চলে ফজরের ওয়াক্ত পর্যন্ত।”

সাদিক কায়েমের অভিযোগ

আব্দুল কাদেরের মতে, সাদিক কায়েমের একমাত্র অভিযোগ ছিল, অভ্যুত্থানে তাদের অবদান ও ত্যাগের পরও তাদের প্রতি ‘অন্যায়’ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “সাদিক ভাইয়ের অভিযোগ, মাহফুজ, নাহিদ, আসিফরা তাদের কথা শুনছেন না, তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। মাহফুজরা কথা রাখেননি।” তিনি সব সমস্যার মূল হিসেবে ‘যথাযথ হিস্যা না পাওয়া’কে চিহ্নিত করেন।