Image description

নামাজে সামনের কাতার খালি না রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। হাদিস শরিফে সামনের কাতার ফাঁকা না রেখে কাতারগুলো একেক করে পূর্ণ করে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে এবং এ নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের ওপর হুঁশিয়ারিও উচ্চারিত হয়েছে।

এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, জাবের ইবনে সামুরা রা. বলেন–

خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ... فَقَالَ: أَلَا تَصُفُّوْنَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلَائِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا؟ فَقُلْنَا: يَا رَسُوْلَ اللهِ، وَكَيْفَ تَصُفُّ الْمَلَائِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا؟ قَالَ: يُتِمُّوْنَ الصُّفُوْفَ الْأُوَلَ، وَيَتَرَاصُّوْنَ فِيْ الصَّفِّ.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এলেন। অতঃপর বললেন, তোমরা কি সেইভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেভাবে ফেরেশতাগণ তাদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন? আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, ফেরেশতাগণ কীভাবে তাদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন? তখন তিনি বললেন, তারা সামনের কাতারগুলো আগে পূর্ণ করেন এবং কাতারে মিলে মিলে দাঁড়ান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৩০)

আরেক হাদিসে এসেছে, আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত–

أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِيْ أَصْحَابِهِ تَأَخُّرًا فَقَالَ لَهُمْ: تَقَدَّمُوا فَأْتَمُّوا بِيْ، وَلْيَأْتَمَّ بِكُمْ مَنْ بَعْدَكُمْ، لَا يَزَالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُوْنَ حَتَّى يُؤَخِّرَهُمُ اللهُ.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীগণের মধ্যে কাউকে কাতারের পেছনে দেখতে পেলেন। তখন তিনি বললেন, তোমরা সামনে এগিয়ে আসো এবং আমার অনুসরণ করো। তোমাদের পেছনের (কাতারের) লোকেরা যেন তোমাদের অনুসরণ করে। এক শ্রেণির লোক থাকবে, যারা সবসময় নামাজে পেছনে থাকবে। আল্লাহও তাদেরকে (তার রহমত ইত্যাদি থেকে) পেছনে রাখবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৩৮)

আরেক হাদিসে এসেছে, আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন–

أتِمُّوْا الصَّفَّ المُقَدَّمَ، ثُمَّ الَّذِيْ يَلِيْهِ، فَمَا كَانَ مِنْ نَقْصٍ فَلْيَكُنْ فِيْ الصَّفِّ المُؤَخَّرِ

তোমরা সামনের কাতার পূর্ণ কর। তারপর এর পরের কাতার। কাতারে অপূর্ণতা থাকলে তা শেষের কাতারে থাকবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৬৭১)

প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার সওয়াবও অনেক বেশি। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন–

لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِيْ النِّدَاءِ  وَالصَّفِّ الْأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوْا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوْا عَلَيْهِ، لَاسْتَهَمُوْا

আজান দেওয়া ও প্রথম কাতারে নামাজ পড়ায় কী (ফযীলত) রয়েছে তা যদি মানুষ জানত এবং তা হাসিল করার জন্য লটারি ছাড়া কোনো গত্যন্তর না থাকত, তাহলে তারা লটারির মাধ্যমে হলেও তা হাসিল করত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬১৫)