Image description

১০ দফা দাবি আদায়ে আজ ঢাকাসহ সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবেই দলটি প্রত্যেক বিভাগকে শেষ মুহূর্তে ঝালাই করে নিতে চায়। সব পর্যায়ের নেতাদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা থেকেই তারা বড় পরিসরে এই কর্মসূচি দিয়েছে। ঢাকায় যুগপৎভাবে শরিকরাও সমাবেশ করবে সরকারের বিরুদ্ধে।
আজকের কর্মসূচির পর ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সারা দেশে যুগপৎভাবে গণপদযাত্রা করতে চায় বিএনপি। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। বিএনপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সামবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 
ঢাকার বাইরে কুমিল্লা টাউন হল ময়দান, রাজশাহী সোনা মসজিদ মোড়, খুলনা সিটি করপোরেশনের সামনের সোসাইটি মোড়, বরিশাল জেলা স্কুল মাঠ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি অফিসের সামনে, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠ, সিলেট রেজিস্ট্রার মাঠ, ফরিদপুর কমলপুর হাই স্কুল মাঠ ও রংপুর মহানগর বিএনপি অফিস সামনে একই সময়ে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে বিএনপির সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতারা বিভাগগুলোতে অবস্থান করছেন। দায়িত্বশীল নেতারা সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।
ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ সময়ের আলোকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে নয়াপল্টনে কর্মসূচি পালিত হবে। আমাদের টার্গেট বড় জমায়েতের। সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে জোরালো আওয়াজ তোলা। এতে সাধারণ মানুষও যোগ দেবে। কারণ আমরা মনে করি, বিএনপি দলীয় দাবির বাইরে জনসম্পৃক্ত বিষয়ে সরব হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকায় সমাবেশে বিপুল উপস্থিতি নিশ্চিতের জন্য মহানগর ছাড়াও আশপাশের জেলায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এসব জেলা থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামবে নয়াপল্টনে। বিভাগীয় সমাবেশের লক্ষ্য গত ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়া বিএনপিকে উজ্জীবিত করা। সমাবেশে উপস্থিতির মাধ্যমে আবারও সাংগঠনিক শক্তির জানান দেওয়া হবে।
এদিকে গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জাতীয় প্রেসক্লাব বেলা  সাড়ে ১১টায়, একই সময়ে ১২ দলীয় জোট বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পুরানা পল্টন আলরাজী কমপ্লেক্স প্রিতম ভবনের উল্টো দিকে, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি মতিঝিল নটরডেম কলেজের উল্টো দিকে বিকাল ৪টায় সমাবেশ করবে। এ ছাড়া এলডিপি কাওরান বাজার এফডিসির পাশে সামনে বিকাল ৩টায় সমাবেশ করবে।
সূত্র জানায়, শরিকদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে বিএনপি সারা দেশে গণপদযাত্রার কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শরিকদের দাবি ছিল বিএনপি এককভাবে ঢাকায় পদযাত্রা করেছে, সেখানে তারা ছিল না। এ জন্য একই রকমের কর্মসূচি যুগপৎভাবে দেওয়ার প্রস্তাব জানানো হয়। এরপর বিএনপি ‘ঢাকা চলো বা মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছে।
গণতন্ত্র মঞ্চ নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশের মানুষ এবার বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবে। চলমান আন্দোলন বিশেষ দল বা জোটের নয়, সমগ্র জনগণের। সরকারি দলের উসকানি চলমান রয়েছে। এসবে পা না দিয়ে যুগপৎ আন্দোলনকে বেগমান করতে হবে।
তবে যুগপৎ আন্দোলনের শুরুর দিকে জামায়াতে ইসলামী থাকলেও নানা কারণে পিছু হটেছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, আমরা আমাদের মতো আন্দোলন করছি। কোনো কর্মসূচি থাকলে প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়ে দিই।