
মিটফোর্ডের মতো ব্যস্ত এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ব্যক্তিকে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জনগণ সরকারকে 'লাল কার্ড' দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি এই ঘটনার জন্য সরকারের দায়বদ্ধতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, "প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর দিয়ে একজন মানুষকে হত্যা করা হলো মিটফোর্ডের মতো ব্যস্ত এলাকায়! সেখান থেকে কয়েক গজের মধ্যে আনসার ক্যাম্প আছে, একটা মানুষ এগিয়ে এলো না। ভিডিও করল দূর থেকে। পরেরদিন যখন গণমাধ্যম এলাকায় গেল, একজন প্রত্যক্ষদর্শীও মুখ খুলল না।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওই ঘটনায় ভিডিওতে দেখা যাওয়া ব্যক্তিকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে এজাহার বদলে দেওয়ার অভিযোগ করেছে। এসব ঘটনার সূত্র ধরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, "এই যে এতগুলো দায় তো সরকারকে নিতে হবে, তাই না?"
রুমিন ফারহানা জোর দিয়ে বলেন, "এই সময়ে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এই জায়গায় এসে ঠেকবার পেছনে সরকারের একটি বিরাট দায় আছে।" তার মতে, এই সবকিছুর সম্মিলিত ফলস্বরূপ "এই সরকারকে ডেফিনেটলি বাংলাদেশের মানুষ লাল কার্ড দেখিয়েছে।"
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের উদাহরণ টেনে রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি সরাসরি কোনো দলকে দোষারোপ করলে তা প্রকাশ্যেই করে। কিন্তু এনসিপি বা জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলো 'একটি দল' শব্দ ব্যবহার করে পরোক্ষভাবে কথা বলছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এনসিপি যখন বলছে 'একটি দল' একসময় পাকিস্তানপন্থিদের পুনর্বাসন করেছে এবং এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে, বা জামায়াতে ইসলামী যখন বলছে মিটফোর্ডের ঘটনার পর 'একটি দলকে' জনগণ লাল কার্ড দেখিয়েছে, তখন তারা আসলে কাদের বোঝাচ্ছে?
তিনি নিজেই এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যেহেতু কোনো সুনির্দিষ্ট দলের কথা বলা হয়নি, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষ মিটফোর্ডের ঘটনায় একটি গোষ্ঠীকে লাল কার্ড দেখিয়েছে, "সেই গোষ্ঠী হচ্ছে যারা সরকারের সঙ্গে যুক্ত।" তিনি যুক্তি দেন, "কারণ এই সময়ে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এই জায়গায় এসে ঠেকবার পেছনে সরকারের একটি বিরাট দায় আছে।"
Comments