
সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন যে ইংল্যান্ডে গেলেন আমি ভেবে পাইনি, কি দরকার ছিল?
গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ তৃতীয় চার্লস পুরস্কার দিচ্ছেন? তার একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান আছে। ইউরোপে সব রাজনৈতিক দলেরই স্বেচ্ছাসেবকমূলক প্রতিষ্ঠান থাকে, এনজিও থাকে। তো তারও এরকম একটা এনজিও আছে এবং সেই এনজিওর পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সেই পুরস্কারের মধ্যে এখন যাদেরকে এ বছর দেওয়া হচ্ছে একমাত্র এশিয়া ইউরোপে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নামটাই মানুষজন চিনে বা জানে।
এর বাইরে অন্য যারা আছে সবই অখ্যাত এবং ব্রিটিশ এই ধরনের একটা পুরস্কার বা রাজার এনজিওর একটা পুরস্কার যেমন ধরুন আমাদের শেখ হাসিনা আমাদের বেগম খালেদা জিয়া কিংবা আমাদের এরশাদ তাদের একটা অনেক সময় পারিবারিক এনজিও থাকে, সেরকম একটা এনজিও একটা পুরস্কার দিচ্ছে।’
‘সেই পুরস্কারটা নেওয়ার জন্য তিনি এই গরীব মানুষের বাংলাদেশের অর্থ খরচ করে ব্রিটেনের সবচেয়ে অভিজাত হোটেলে তার বিরাট বহর নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। আর বলছেন যে এটা তার রাজকীয় সফর মানে রাষ্ট্রীয় সফর। কিন্তু আমরা দেখলাম যে এয়ারপোর্টে মানে হিথ্রো বিমানবন্দরে তিনি যে নামলেন তার ব্যাগ টানার জন্য তার প্রেস সেক্রেটারি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
এমনকি তার একটা ছবি তোলার জন্য একটা ক্যামেরাম্যান সেখানে ছিলেন না। মিস্টার শফিক তিনি তার নিজস্ব ক্যামেরা দিয়ে যে ছবি তুলেছেন, সেখানে বাংলাদেশের যে রাষ্ট্রদূত যিনি ইংল্যান্ডে আছেন সেই ভদ্র মহিলার সঙ্গে তিনি হ্যান্ডশেক করছেন। সেই হ্যান্ডশেক করার সময় ড. ইউনূসকে খুবই বিভ্রান্ত, খুবই উদাসীন, খুবই ক্লান্ত, খুবই বিধ্বস্ত, খুবই অপমানিত বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে।’
‘যাই হোক, তিনি এখন যে হোটেলে আছেন, সেই হোটেলের বাইরে তিনি বেরোতে পারছেন না বা পারেননি।
এর কারণ হলো, তিনি যে চার দিনের সফরে গিয়েছেন এই সময়টিতে আওয়ামী লীগ সেখানে ব্যাপক বিদ্রোহ করছে, বিক্ষোভ জানাচ্ছে এবং এত বড় বিক্ষোভ নিকট অতীতে ইংল্যান্ডে বাঙালিরা করেনি।’
রনি বলেন, তার সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর একটা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আজকে আমি যখন এই ভিডিওটি করছি ১১ তারিখে আজকের তরতাজা খবর হলো— এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের কোনো শিডিউল পাওয়া যায়নি এবং তার যে প্রেস সচিব তিনি আজকের দিন পর্যন্ত যেটি জানিয়েছেন সেটি হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক অনিশ্চিত। তাহলে এখানে রাষ্ট্রীয় সফরটা কিভাবে হলো?’
Comments