বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আনতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন তার চিকিৎসকরা। এজন্য খোঁজা হচ্ছে আইসিইউ ও সিসিইউ সুবিধাসহ চার্টার্ড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সাধারণ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে দীর্ঘ ভ্রমণ করিয়ে লন্ডনে আনার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না চিকিৎসকরা। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলের যুক্তরাজ্য কমিটির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, চিকিৎসার জন্য যেখানেই যান না কেন, শুরুতে তিনি লন্ডনেই আসবেন।
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তার বাসভবন ফিরোজায় নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।
আগের দিন মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে দেখতে যান সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ইউকে’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ। বুধবার বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা স্বীকার করলেও তার চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি যুক্তরাজ্য প্রবাসী এই নেতা। তিনি বলেন, আমি নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য দেশে এসেছি।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের বউ শর্মিলা রহমান সিথি এ মুহূর্তে দেশে থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দেখভাল করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে লোকজন বারবার হাসপাতালে এলে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে বলে সতর্ক তার চিকিৎসকরা। এ কারণে বহু সাক্ষাৎপ্রার্থী চাইলেও হাসপাতালে দেখা পাচ্ছেন না বেগম জিয়ার।
খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন। লন্ডনের মরফিল্ড হাসপাতালে তার চোখের অপারেশন হয়। তিনি সেখানে হাঁটুর চিকিৎসাও নিয়েছিলেন।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments