Image description

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর পরিবার সংকট ও সম্ভাবনা যেন একই সূত্রে গাঁথা, তার যৌক্তিক কারণ কি হতে পারে? স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল পরিচয়, প্রথম ব্রিগেড কমান্ডার জেড-ফোর্স, রণাঙ্গনে প্রথম ৫শ বর্গমাইল ভূখণ্ড স্বাধীন করাসহ বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত হওয়া এতকিছু অর্জন যার তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকদের বিশ্বদরবারে জাতিসত্তা ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ হিসেবে পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যা তার রাজনৈতিক দর্শন। তলাবিহীন ঝুড়ি ও রাষ্ট্রের বদনামগুলো মাত্র সাড়ে চার বছরের মধ্যে আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে। 

আর ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ ও ‘১৯ দফা’র লক্ষ্য উদ্দেশ্য-কে হাজার বছর টেনে নিয়ে যাবার জন্য প্লাটফর্ম হিসেবে রেখে  গেছেন ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’। তার রাজনৈতিক ও আদর্শিক উত্তরসূরি আমরা কোটি কোটি জনতা। রক্তের এবং রাজনৈতিক ও আদর্শিক উত্তরসূরি তিনি আজ আমাদের ধ্রুবতারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি ‘সময়ের বিএনপি প্রত্যাশার নাম তারেক রহমান’।

তারেক রহমান-এর যোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, বিনা ভোটে অবৈধভাবে দখলদার সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ-কে বিকিয়ে দিয়ে নানান ধরনের পথ অবলম্বন করে চলেছিল গত ১৭টি বছর শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকা ও দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশদরদি তারেক রহমান তার দল বিএনপি আগামীর বাংলাদেশ-কে ‘কল্যাণ রাষ্ট্র’ বি-নির্মাণে নেতৃত্বের উপযোগী সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সুদূর লন্ডন থেকে এখন পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তারেক রহমান-এর এই প্রচেষ্টা-কে ইতিবাচক দৃষ্টি’তে দেখছেন যেসব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, রাজনীতিক, নাগরিক সমাজ প্রতিনিধি, সকল স্তরের নেতাকর্মী সমর্থক ও সাধারণ নাগরিক।

বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার প্রতারণার আশ্রয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে আজ্ঞাবহ গোষ্ঠী-কে দিয়ে বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী শক্তি-কে মানসিক ও কাঠামোগতভাবে দুর্বল করতে এবং সমাজে বিভ্রান্ত তৈরি করতে এমন এক পরিস্থিতিতে দুদকের একটি মামলায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও উনার সহধর্মিণী প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার জুবাইদা রহমান-এর স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদালত আদেশ দেয়। 

দলের সকল স্তরের নেতাকর্মী সমর্থক বিশ্বাস করেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার একনিষ্ঠ লক্ষ্য স্থির রেখেই ধৈর্যের সাথে যুগপৎ আন্দোলন সংগ্রামে সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের নেতৃত্বে সফল হয়েছেন। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সবার চোখের সামনে ঝলঝল করছে। কতটা সুদূরপ্রসারী চিন্তা থাকলে দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যকর করতে ২০০৫ সালে ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু করেছিলেন। 

বাংলাদেশে গতানুগতিক ধারার আন্দোলনের বাইরে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে, শান্তিপূর্ণ গণ-সমাবেশের মাধ্যমে গণআন্দোলন তৈরি করা যায় তার দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেন বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার মধ্য দিয়ে। তখনকার গণমাধ্যমে বিএনপির তৃণমূল সম্মেলন নিয়ে শিরোনামসহ সকল সংবাদগুলো জলন্ত সাক্ষী। 

আর ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে দুদকের করা মামলায় আদালতের আদেশে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মাতা বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া-কে কারাগারে নিয়ে যাবার পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিটি সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপের বিষয়ে কেউ নেতিবাচক প্রশ্ন কিংবা মন্তব্য করেননি। সেজন্যই আওয়ামী দখলদার অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতারা তারেক রহমান-এর যোগ্যতাকে হিংসা করেন ও সবসময় একধরনের আতংকে ভুগতে থাকেন, এই বুঝি তারেক রহমান এলেন...।

দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি থেকে ছোট্ট এই লেখায় একমাত্র অনুভূতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কল্যাণ রাষ্ট্র বি-নির্মাণে ইনশাআল্লাহ সফল হবেন। হতেই তো হবে। ‘‘তিনি ‘সময়ের বিএনপি’র প্রত্যাশার নাম তারেক রহমান’। বাংলাদেশের ভাগ্য, বিএনপি’র ভাগ্য আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর উত্তরসূরিদের ভাগ্য যে একই সূত্রে গাঁথা।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংস্কৃতিককর্মী।